ফের চোখ রাঙাচ্ছে  নোভেল করোনাভাইরাস, এবার অন্য রূপে (New COVID Variant)। করোনার এই নয়া রূপ EG.5.1। সংক্ষেপে এরিস (Eris)। জুলাই মাসে প্রথম ব্রিটেনে এই ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়ার পর থেকেই উদ্বেগে চিকিৎসকরা। তবে এখনও পর্যন্ত এর সংক্রমণ সাঙ্ঘাতিক পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছায়নি । তবে অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগেভাগে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। 


জানা গিয়েছে, Eris আদতে Omicron - র একটি সাবভেরিয়েন্ট, বিশেষ করে XBB.1.9.2। এই বছর ফেব্রুয়ারিতে চিনে প্রথম শনাক্ত করা গিয়েছিল এই   Erisকে। তারপর থেকে ৫০ টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার এই সাব ভ্যারিয়েন্ট। 


এখনও পর্যন্ত বিশেষজ্ঞদের যা অভিজ্ঞতা তার ভিত্তিতে বলা যায়, এরিস  ওমিক্রন সাবভেরিয়েন্টের চেয়ে বেশি সংক্রামক হতে পারে। তবে এটির প্রভাব আরও গুরুতর কিনা তা স্পষ্ট নয়। 


প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আগের ওমিক্রন সাবভেরিয়েন্টের তুলনায় এরিসের প্রভাবে  হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে আরও সময় লাগবে।  


Eris-এর উপসর্গগুলি কী কী? অন্যান্য COVID-19  ভ্যারিয়েন্টের মতোই এরিসে আক্রান্তদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে - 


- জ্বর ( fever )
- কাশি ( cough )
- শ্বাসকষ্ট ( shortness of breath )
- ক্লান্তি ( fatigue )
- পেশী ব্যথা ( muscle aches )
- মাথাব্যথা ( headache ) 
- গলা ব্যথা ( sore throat )
- এরিস আক্রান্তদের  স্বাদ বা গন্ধের অনুভূতি চলে যেতে পারে।   ( Altered Smell )


এখনও পর্যন্ত বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এরিসের  নির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা নেই।  লক্ষণ দেখে দেখে এরিসের চিকিৎসা করা হবে। এরিস আক্রান্ত হলে বিশ্রাম নিতে হবে ভাল করে। প্রচুর পরিমাণে তরল গ্রহণ করতে হবে। ওভার-দ্য-কাউন্টার ওষুধ খেলে হবে না। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুসারে ওষুধ খেতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে, হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হতে পারে। তবে এখনও আতঙ্কিত হওয়ার কারণ হয়নি।                      


এখনই ভারতে এরিস আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি। তবে সাবধানে মার নেই ! এখন থেকেই জনবহুল স্থানে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজা. রাখার উপর জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 


আরও পড়ুন :                 


জলের মতো স্পষ্ট সবকিছু, তাও অনুভূতি প্রকাশ করতে পারছেন না সামনের জন! বিশেষ কারণ থাকতে পারে