High Blood Sugar: আজকাল অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় ৪০ হওয়ার আগেই ডায়াবেটিসের শিকার হয়েছেন। যৌবনকালেই হাই ব্লাড সুগারের সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার একাধিক কারণ রয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রে জিনগত ভাবে এই সমস্যা দেখা যায়। মানে পরিবারের কারও হাই ব্লাড সুগারের সমস্যা থাকলে সেখান থেকেও আপনার মধ্যে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও এই রোগ হওয়ার আরও একাধিক কারণ রয়েছে। অল্প বয়সে সুগার আক্রান্ত হওয়ার কী কী কারণ রয়েছে, দেখে নেওয়া যাক।
প্রসেসড খাবার খাওয়া
বিভিন্ন ধরনের প্রসেসড খাবার বা প্রক্রিয়াকরণজাত খাবার খেলে ব্লাড সুগারের মাত্রা বাড়তে পারে। এইসব প্রসেসড খাবার মূলত প্যাকেটে থাকে কিংবা টিন বা কৌটোর মধ্যে থাকে। এইসব খাবার অনেকদিন পর্যন্ত ভাল রাখার জন্য প্রিজার্ভেটিভ দেওয়া হয়। এছাড়াও প্রসেসড খাবারে যুক্ত থাকে প্রচুর পরিমাণে সুগার। এই জাতীয় খাবার খেলে আপনার ব্লাড সুগারের মাত্রা বাড়বে। অতএব ডায়াবেটিস এড়াতে চাইলে প্রসেসড খাবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
স্ট্রেস কমানো জরুরি
আজকাল অল্প বয়সী বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ডায়াবেটিসের সমস্যা দেখা যায়। এর অন্যতম কারণ স্ট্রেস। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্ট্রেসের মাত্রা লাগামছাড়া। কর্মক্ষেত্রের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে অনেকেই স্ট্রেসে থাকেন প্রবলভাবে। আর এই স্ট্রেসের কারণে সুগারের সমস্যা দেখা দিতে পারে আপনার শরীরে। অতএব স্ট্রেস কমানো জরুরি। প্রয়োজনে সাহায্য নিতে হবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের। স্ট্রেস আমাদের শরীরে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। সরাসরি ব্লাড সুগারের মাত্রা বেড়ে না গেলেও স্ট্রেসের কারণে আপনি ডায়াবেটিসের রোগী হয়ে যেতে পারেন।
রাতে পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন
রাতে ভালভাবে ঘুম না হলে, দিনের পর দিন রাতে ঠিক পরিমাণে ঘুম না হলে, ডায়াবেটিসের সমস্যা বাড়তে পারে। রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। নাহলে আমাদের শরীরে ইনস্যুলিনের ভারসাম্য সঠিকভাবে বজায় থাকবে না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইনস্যুলিন এমন এক ধরনের হরমোনে যা প্যাংক্রিয়াস থেকে উৎপন্ন হয় এবং ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখেন। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখাই ইনস্যুলিনের কাজ।
স্থূলতা বা ওবিসিটি ক্রমশ বাড়ায় ব্লাড সুগারের মাত্রা
নিয়মিত শরীরচর্চা না করলে আপনার শরীরে জমবে মেদ। বাড়তে থাকবে ওজন। আপনি যত মোটা হতে থাকবেন, ডায়াবেটিসের সমস্যা তত বাড়তে পারে। ওজন বেড়ে গেলে, শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমলে, ইনস্যুলিনের ভারসাম্য অসামঞ্জস্য দেখা দিতে পারে আপনার শরীরে। আর তার জেরেই ব্লাড সুগারের সমস্যা বাড়তে দেখা যায়।