কলকাতা: ব্রেকফাস্ট থেকে শুরু করে সন্ধেবেলার পছন্দর স্ন্যাকস। অনেক পদেই সঙ্গী হয় চিজ। দুধ থেকে তৈরি এই খাবারে স্বাদ যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে বহু পুষ্টিগুণ। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন পদ্ধতিতে তৈরি হয় নানা স্বাদের চিজ।


ব্লাড সুগারের মাত্রা বেশি থাকলে পছন্দের এই খাবার কি খাওয়া যাবে? চিজ খাওয়ার সঙ্গে কি ব্লাড সুগারের মাত্রার কোনও হেরফের হয়? 


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন,  যাঁদের ব্লাড সুগার বেশি অর্থাৎ মধুমেহের সমস্যা রয়েছে। তাঁদের ক্ষেত্রে যে কোনও খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের দিকে চোখ রাখতে হবে। যে খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি তা খাওয়া চলবে না। চিজ নিয়ে এমন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কারণ চিজে কার্বোহাইড্রেট প্রায় থাকে না। ফলে  গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সূচকে প্রায় নীচের দিকে থাকে। হাভার্ড টিএইচ চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেলথ-এর একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে খাবার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের নীচের দিকে রয়েছে সেগুলি আদতে টাইপ টু ডায়াবেটিস থাকা রোগীদের জন্য উপকারী। চিজ থেকে কী কী উপকার মিলতে পারে?


টাইপ টু ডায়াবেটিসে উপকার:
PLOS Medicine-জার্নালে ২০১৮ সালে একটি তথ্য় প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছে একাধিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে। চিজ এবং ইয়োগার্টের মতো ডেয়ারি খাদ্য টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। তবে বেশ কিছু চিজে উচ্চ মাত্রায় স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। যা এড়িয়ে কম স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত চিজ বেছে নেওয়া উচিত। 


ব্লাড সুগারে লাগাম:
চিজে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন থাকে। মাংসপেশির স্বাস্থ্য, রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রোটিন প্রয়োজনীয়। পাশাপাশি ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণেও প্রয়োজন প্রোটিন। কার্বোহাইড্রেট শোষণ প্রক্রিয়ায় বাধা দিয়ে শর্করার ঊর্ধ্বগতি রুখতে সাহায্য করে।  
   
ফল, হোল গ্রেইন, পাউরুটির সঙ্গে খাওয়া যায় চিজ। কিন্তু উপকারী হলেও অতিরিক্ত চিজ স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। অধিকাংশ চিজেই স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে। অতিরিক্ত স্যাচুরেটেড ফ্যাট হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত সমস্য়া তৈরি করতে পারে। যা ডায়াবেটিক লোকজনের জন্য ঠিক নয়। 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: যেকোনও কিছুতে টমেটো সস খাচ্ছেন? অজান্তেই কী মারাত্মক ক্ষতি করছেন?