কলকাতা: সিঙ্গাড়া হোক কিংবা পকোড়া। কিংবা স্যান্ডউইচ। রোল থেকে চাউমিন। মুখরোচক খাবার মানেই তার সঙ্গে সসের (Ketchup) উপস্থিতি আবশ্যক। টমেটো সস (Tomato Ketchup) এমন একটা খাবার, যা প্রায় সব বাড়িতেই পাওয়া যায়। যেকোনও স্ন্যাকসের সঙ্গে ছোটদের পাশাপাশি বড়রাও সস খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু অত্যধিক টমেটো সস খাওয়ার প্রভাব শরীরে কেমন হতে পারে, তা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, বাজার চলতি প্যাকেটজাত টমেটো সসে কোনওরকমের ফাইবার কিংবা প্রোটিন নেই। এতে নেই কোনও উপকারিতাও।  শুধুমাত্রই খাবারের স্বাদ বাড়ায় টমেটো সস। এতে প্রচুর পরিমাণে নুন, চিনি, ফ্রুকটোস কর্ন সিরাপ এবং প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয়। এই সমস্ত উপাদানই আমাদের স্বাস্থ্যের বিভিন্ন ক্ষতি করতে পারে। 


আরও পড়ুন - Skin Care Tips: শীতকালে রুক্ষ-শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করতে কী করবেন? রইল ঘরোয়া পদ্ধতি


টমেটো সস আমাদের স্বাস্থ্যের যে ক্ষতিগুলো করে-


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, অত্যধিক পরিমাণে টমেটো সস খেলে ওবেসিটির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। টমেটো সসে থাকা উচ্চ পরিমাণে চিনি এবং প্রিজারভেটিভ শরীরে ফ্যাটের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। আর ওবেসিটির কারণে পরবর্তীকালে ঝুঁকি বেড়ে যায় মধুমেহ, ক্যানসার, কিডনির মতো সমস্যা।


২.  পুষ্টিবিদদের মতে, হজমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে অত্যধিক টমেটো সস খেলে। এছাড়াও পাকস্থলীর নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।


৩. অত্যধিক টমেটো সসের ব্যবহার আমাদের শরীরে বিভিন্ন অ্যালার্জির কারণ হতে পারে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়।


গত আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে সারা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস। এই রোগের থেকে রক্ষা পেতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই একমাত্র উপায় বলে মত বিশেষজ্ঞদের। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ থেকে পুষ্টিবিদ প্রত্যেকেই এই সময়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। যে খাবারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে কিংবা স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়, তেমন খাবার রোজকার তালিকায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করারও পরামর্শ তাঁদের। যাতে এই সময়ে শরীরে কোনও অন্যান্য। রোগ বাসা বাঁধতে না পারে। অন্যদিকে, অত্যধিক মাত্রায় টমেটো সস খেলে কমে যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। শরীরে বাসা বাঁধে অন্য অসুখ।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।