Winter Hair Care: শীতকালে (Winter Season) চুলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা (Hair Problems) লক্ষ্য করা যায়। তার জন্য চুলের একটু বেশিই যত্নের প্রয়োজন। তবে শুধু চুলের লেংথ বা লম্বা অংশে যত্ন করলেই চলবে না। একই সঙ্গে মাথার তালু স্ক্যাল্পেরও সঠিকভাবে যত্ন হওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে অতি অবশ্যই কী কী করণীয় সেগুলো একনজরে দেখে নেওয়া যাক।


শীতের মরসুমে চুল এবং মাথার স্ক্যাল্পের যত্নে যে নিয়মগুলো অতি অবশ্যই মেনে চলবেন



  • যাঁদের রুক্ষ চুলের সমস্যা তাঁরা অবশ্যই শ্যাম্পু করার আগে অয়েল ম্যাসাজ করুন। তেল হাল্কা গরম করে নিতে পারেন। শ্যাম্পু করার আগে অন্তত এক ঘণ্টা মাথায় তেল লাগিয়ে ম্যাসাজ করে রাখুন।

  • যাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে তাঁরা ঘনঘন শ্যাম্পু শীতের মরসুমে না করাই ভাল। এমনকি রোজ চুল ভিজিয়ে স্নান না করলেও চলবে। যাঁদের চুল লম্বা বেশি এই নিয়ম তাঁদের ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয়।

  • মাথা ভিজিয়ে স্নান করলে অবশ্যই ভাল করে চুল শুকিয়ে নিতে হবে। নাহলে ঠান্ডা তো লাগবেই। সেই সঙ্গে চুলের গোড়ায় নরম হয়ে আলগা হয়ে যাবে। ফলে চুল পড়ার সমস্যা বাড়বে।

  • শীতকালে চুল শুকোতে সময় লাগে। তাই বলে যথেচ্ছভাবে ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না। ড্রায়ারের গরম হাওয়ায় চুলের যেমন ক্ষতি হয় তেমনই প্রভাব পড়ে স্ক্যাল্পেও।

  • চুল শুকনোর জন্য সরাসরি রোদে না দাঁড়ানোই ভাল সরাসরি চুলের উপর রোদ পড়লে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

  • ভেজা চুলে বালিশে মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়বেন না কিংবা শোবেন না। চুলের গোড়ায় জল জমে থাকলে তা আলগা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ভেজা চুল বেঁধে রাখবেন না। 

  • রুক্ষ চুলের ক্ষেত্রে শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার করা খুবই প্রয়োজন। তবে খেয়াল রাখবেন স্ক্যাল্পে যেন কন্ডিশনার একেবারেই না লাগে।

  • চুলের লেংথ অংশে কন্ডিশনার লাগানোর পর তা ভালভাবে ধুয়ে নিতে হবে। অতি অবশ্যই চুল ভাল করে ধোয়া প্রয়োজন, যাতে শ্যাম্পু, কন্ডিশনার কিছুই না থেকে যায়।

  • অতিরিক্ত গরম জল চুল ধোয়ার ক্ষেত্রে কখনই ব্যবহার করবেন না। ঠান্ডা জলে গরম জল মিশিয়ে নিন। ঠান্ডা মোটামুটি কেটে গেলে সেই জলে চুল ধুয়ে নিন। 

  • ভেজা চুলে বাইরে না বেরনোই ভাল। ভেজা চুলে ধুলো দ্রুত জমে যায়। খুব ধুলোবালির জায়গায় গেলে নরম ওড়না, কাপড় বা স্কার্ফ দিয়ে চুল ঢেকে নিন। 

  • শীতের মরসুমে খুশকির সমস্যা মারাত্মক ভাবে বেড়ে যায় অনেকের ক্ষেত্রে। এই সমস্যা অতিরিক্ত পরিমাণে দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। 


আরও পড়ুন- শীতের মরসুমে গাঁটের ব্যথা কমাতে ভরসা যোগাসন, কী কী উপকার পাবেন?