কলকাতা: শীতকাল হোক বা গরমকাল, একের সময় ত্বকের একেকরকম সমস্যা। আর সেই সমস্যা সামাল দিতে অনেকেই নানা টোটকায় ভরসা রাখেন। কেউ নিয়মিত কিছু উপকরণ দিয়ে ত্বকের পরিচর্যা করেন। এর মধ্যেই একটি বিশেষ উপকরণ হল ভিটামিন E ক্যাপসুল। ভিটামিন E শরীরের একাধিক উপকারে লাগে। কিন্তু ত্বকের যত্নে কি এটি আদৌ জরুরি? ভিটামিন E ক্যাপসুল ত্বকে মাখলে কেমন উপকার? কতটা লাভ? (vitamin E benefits for skin) এই বিষয়ে এবিপি লাইভকে বিশদে জানালেন আইএলএস হাসপাতালের সিনিয়র ডার্মাটোলজিস্ট ও মেডিক্যাল কসমেটোলজিস্ট চিকিৎসক আশারাণী ভোল।
ভিটামিন E ক্যাপসুলে কতটা উপকার?
চিকিৎসকের কথায়, বর্তমানে টপিক্যাল ভিটামিন E বেশ জনপ্রিয় চিকিৎসা হিসেবে উঠে আসছে। ত্বকের নানারকম সমস্য়ায় এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রসাধনী দ্রব্যের মধ্যেও ভিটামিন E উপস্থিত থাকছে। বিউটি প্রোডাক্ট হিসেবেও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই বিশেষ ক্যাপসুল। কিন্তু বিজ্ঞান এই দাবিকে মোটেই সমর্থন করে না। ডার্মাটোলজিস্ট আশারাণী ভোল বলছেন, কোনও গবেষণাতেই এর সপক্ষে জোরদার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাহলে কি কোনও উপকারিতা নেই ভিটামিন E ক্যাপসুলের? তাও কিন্তু নয়।
ভিটামিন E-এর উপকারিতা
নির্দিষ্ট কিছু উপকারিতা রয়েছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক। তাঁর কথায়, শুষ্ক ত্বকের সমস্যা ঠেকাতে এটি কাজ করে। এটি ত্বককে ময়শ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি অ্যান্টি-এজিং প্রোডাক্ট অর্থাৎ বয়স কমানোর বিশেষ উপকরণ হিসেবে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও, ত্বকে গভীর ক্ষত হলে সেটি সারাতেও ভিটামিন E বেশ কার্যকরী। এই কারণগুলির জন্যই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভিটামিন E ক্যাপসুল।
ভিটামিন E ক্যাপসুলের বিপদ!
কয়েকটি নির্দিষ্ট সুবিধা পাওয়া গেলেও ভিটামিন E ক্যাপসুল বিউটি প্রোডাক্ট হিসেবে খুব সুবিধের নয়। কারণ সেদিক থেকে বিশেষ কার্যকরী নয় এটি। এর পাশাপাশি চিকিৎসক বললেন এর ক্ষতিকর দিকটির কথাও। অনেক সময় ভিটামিন E ক্যাপসুল বেশ কয়েকটি গুরতর চর্মরোগের কারণ হতে পারে। যেমন জ্যানথোমাটিক রিয়াকশন (এই রোগে ত্বক হলদেটে হয়ে যায়। ত্বকের নিচে ফ্যাট জমতে থাকে) দেখা যায়।
তাহলে কি এটি ব্যবহার করা উচিত?
সাধারণত অস্ত্রোপচারের পর ক্ষতের দাগ সারাতে এটি বিশেষভাবে দরকার পড়ে। এছাড়া, বিশেষ কোনও উপকারে লাগে না। অন্তত যেভাবে এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, সেই নিরিখে একেবারেই এটি জরুরি নয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: Fatty Liver: কিছু বোঝার আগেই লিভার ফ্যাটি হয়ে যাচ্ছে? কেন এমন হয়?