Stress And Anxiety: চা খেতে যাঁরা ভালবাসেন, স্ট্রেসের মাত্রা কমাতে তাঁরা ভরসা রাখতে পারেন পছন্দের এই পানীয়তে। কোন কোন চা খেলে স্ট্রেসের মাত্রা কমতে পারে সেই তালিকা দেখে নিন একনজরে। একাধিক কারণে আমাদের স্ট্রেস বাড়তে পারে। স্ট্রেসের মাত্রা কমাতে বেশ কয়েকটি চা আমাদের সাহায্য করে। সেই তালিকায় কোন কোন চা রয়েছে জেনে নিন। আজকাল প্রায় সকলের জীবনেই কমবেশি স্ট্রেস রয়েছে। কেউ আর্থিক চিন্তায় জর্জরিত। কারও বা অফিসের চাপ সর্বক্ষণের সঙ্গী। অনেকে আবার পারিবারিক ঝামেলার মধ্যে থাকেন। এইসব বিভিন্ন কারণে মাঝে মাঝেই স্ট্রেস মাত্রা বিপদসীমা পেরিয়ে যায়। তখন অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ। তবে বেশ কয়েক ধরনের চা, মূলত হার্বাল টি বা ভেষজ চা রয়েছে যেগুলি স্ট্রেসের মাত্রা কমাতে অনেকটাই সাহায্য করে সাময়িক ভাবে। 

সাধারণত আমরা যে চা খেয়ে থাকি, তার তুলনায় হার্বাল টি স্ট্রেস কমাতে বেশি সাহায্য করে। এই তালিকায় কোন কোন হার্বাল টি রয়েছে দেখে নিন একনজরে। 

  • ক্যামোমাইল টি স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। এই চায়ের মধ্যে রয়েছে হাল্কা সুগন্ধ যা আমাদের রিল্যাক্স রাখে এবং স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। 
  • গ্রিন টি খেলেও স্ট্রেসের মাত্রা কমবে। এই বিশেষ ধরনের চা ডোপামাইন এবং সেরাটোনিন - এর উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে। তার ফলে কমে স্ট্রেস। 
  • অতিরিক্ত স্ট্রেসের কারণে অনেকের ক্ষেত্রেই অ্যাংজাইটির সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। পিপারমেন্ট টি- এইসব সমস্যা অর্থাৎ স্ট্রেস, অ্যাংজাইটি দূর করতে কাজে লাগে। 
  • স্ট্রেসের থেকে অ্যাংজাইটির পাশাপাশি চূড়ান্ত ভাবে মানসিক অবসাদের শিকার হতে পারেন আপনি। এক্ষেত্রে স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করবে ল্যাভেন্ডার টি। 
  • স্ট্রেসের থেকে একাধিক শারীরিক সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। এক্ষেত্রে ব্যথা, যন্ত্রণাও হতে পারে শরীরের বিভিন্ন অংশে। আর এইসব ব্যথা-বেদনা দূর করতে সাহায্য করে লেমনগ্রাস টি। 
  • স্ট্রেস, মানসিক অবসাদ বা ডিপ্রেশন, অ্যাংজাইটি বা অল্পেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ার সমস্যা - এগুলি দূর করার জন্য খেতে পারে মাচা টি। 
  • তুলসী টি- এই হার্বাল চা খেলে আপনার বডি ডিটক্সিফিকেশন সম্ভব। অর্থাৎ শরীরে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বেরিয়ে আসবে। তার ফলে দৃঢ় হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এর পাশাপাশি স্ট্রেসও কমবে। 

মূলত এইসব চায়ের মধ্যে রয়েছে এমন কিছু উপকরণ যা স্ট্রেস এবং উদ্বেগ বা অ্যাংজাইটি কমাতে সাহায্য করে। 

ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।