Eye Care Tips: ডার্ক সার্কেলের সমস্যা থাকলে নিয়মিত আন্ডার আই ক্রিম ব্যবহার করতে পারলে উপকার পাবেন অল্পদিনের মধ্যেই। অনেকের চোখের নীচে ফোলাভাব দেখা যায়। আন্ডার আই ক্রিম ব্যবহার করলে এই ফোলাভাব দূর হতে খুব বেশি দিন সময় লাগবে না। রিঙ্কেলস বা বলিরেখার সমস্যা চোখের নীচে সবার আগে দেখা দিতে পারে। এই অসুবিধা থেকে দূরে থাকতে নিয়মিত আন্ডার আই ক্রিম ব্যবহার করা জরুরি। চোখের চারপাশের ত্বক উজ্জ্বল এবং মোলায়েম রাখতেও বিশেষ ভাবে সাহায্য করে আন্ডার আই ক্রিম। তাই রোজ ব্যবহার করতে পারলে ভাল। আন্ডার আই ক্রিম রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভাল। দিনের অন্যান্য সময় ব্যবহার করলে ততটা উপকার পাবেন না।

আন্ডার আই ক্রিম ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকা জরুরি। চোখে যাতে ক্রিম ঢুকে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখা ভীষণ ভাবে জরুরি। আন্ডার আই ক্রিম চোখের তলায় লাগিয়ে মিনিট পাঁচেক ম্যাসাজ করতে পারেন। তারপর ঘুমিয়ে পড়ুন। সকালে উঠে ভালভাবে পরিষ্কার জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। চোখের চারপাশের চামড়া কুঁচকে যাওয়া থেকে আটকাতে আন্ডার আই ক্রিমের ব্যবহার জরুরি। চোখের নীচের এবং চারপাশের ত্বক টানটান রাখতে সাহায্য করে এই বিশেষ ধরনের ক্রিম। সারাদিনের ক্লান্তির পর রাতে চোখের তলায় আন্ডার আই ক্রিম ব্যবহার করা উচিত। চোখের চারপাশের ত্বকের ক্লান্তি দূর হবে, উজ্জ্বল-ঝকঝকে থাকবে ত্বক। চোখের চারপাশের অংশে মেকআপ করার ক্ষেত্রেও অনেক ক্ষেত্রে সাহায্য করে আন্ডার আই ক্রিম। 

আমাদের প্রায় সকলেরই অভ্যাস ঘুম থেকে উঠে চোখে-মুখে জলের ঝাপটা দেওয়া। কাজের ফাঁকে ঘুম পেলে কিংবা ঝিমানি এলেও এই একই কাজ করে থাকি আমরা। কিন্তু চোখে এই জোরে জলের ঝাপটা দেওয়ার অভ্যাস কি আদৌ স্বাস্থ্যকর? ঘুম হয়তো কেটে যাবে আপনার, কিন্তু চোখে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। তাই সতর্ক থাকা জরুরি। কখনই খুব জোরে জলের ঝাপটা চোখে দেবেন না। এমন করলে চোখের ক্ষতিই হবে বেশি। আলতো হাতে চোখে জল বুলিয়ে ধুয়ে নিন। এর ফলে হয়তো বেশ কয়েকবার আপনাকে চোখে জল দিতে হবে এবং পুরো বিষয়টা সময়সাপেক্ষ। কিন্তু এটাই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। চোখের প্রচণ্ড জোরে জলের ঝাপটা দিলে চোখের ভিতরে থাকা নার্ভ এবং টিস্যুগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অনেক সময় জলের ধাক্কায় চোখের পাতা ছিঁড়ে যায়। আবার চোখে বেশি জোরে জল দিলে চোখ লালচে হয়ে যেতে পারে। তাই সাবধানে থাকুন। 

ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।