আমাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান অংশ হল, দৃষ্টি। যার মাধ্যমে আমরা এই সুন্দর পৃথিবীকে দেখতে পাই। কিন্তু যখন দৃষ্টি ধীরে ধীরে ঝাপসা হতে শুরু করে, তখন এটি কোনও স্বাভাবিক দুর্বলতা নয় বরং কোনও গুরুতর সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। প্রায়শই মানুষ এর জন্য চশমার সংখ্যা বাড়ান বা ক্লান্তিকে দায়ী করেন, যেখানে আসল কারণ ছানিও হতে পারে। এবিপি নিউজকে এক চিকিৎসক জানিয়েছেন যে, এটি একটি সাধারণ, কিন্তু বিপজ্জনক চোখের রোগ । যেখানে লেন্স ধীরে ধীরে ঝাপসা হয়ে যায় এবং স্পষ্টভাবে দেখার ক্ষমতা হ্রাস পেতে শুরু করে। যদি সময়মতো এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি অন্ধত্বের দিকে পরিচালিত করতে পারে।

ছানির প্রধান লক্ষণ-

  • ঝাপসা দৃষ্টি
  • আলো বা বাল্বের ঝলক খুব তীব্র
  • রং ম্লান বা ঝাপসা দেখা
  • রাতে গাড়ি চালানোর সময় অসুবিধা
  • পড়া এবং লেখার সময় ক্রমাগত ঝাপসা দৃষ্টি
  • ঘন ঘন চশমার নম্বর পরিবর্তন

ছানি রোগের কারণ-

  • বয়স বৃদ্ধি - ৫০ বছর পর এই সমস্যাটি বেশি দেখা যায়
  • সুগার - ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে ছানি দ্রুত বাড়তে পারে
  • চোখের আঘাত বা অস্ত্রোপচার - এটি লেন্সকে প্রভাবিত করতে পারে
  • অতিরিক্ত রোদ এবং অতিবেগুনী রশ্মি - চোখের ক্ষতি করতে পারে
  • বংশগতি - যদি এই সমস্যাটি পরিবারে থাকে তবে ঝুঁকি বেশি থাকে

ছানি চিকিৎসা-

  • প্রাথমিক পর্যায়ে - ডাক্তাররা চশমা বা ওষুধ দিয়ে সাহায্য করতে পারেন
  • উন্নত পর্যায়ে - একমাত্র কার্যকর চিকিৎসা হল অস্ত্রোপচার, যেখানে ঝাপসা লেন্স অপসারণ করা হয় এবং একটি কৃত্রিম লেন্স স্থাপন করা হয়। এই অস্ত্রোপচার নিরাপদ এবং সফল বলে বিবেচিত হয়।

ছানি প্রতিরোধের উপায় কী কী ?

  • ভিটামিন এ, সি এবং ই সমৃদ্ধ সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন
  • রোদে বের হওয়ার সময় সানগ্লাস পরুন
  • ধূমপান এবং অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন
  • নিয়মিত আপনার চোখ পরীক্ষা করান

ঝাপসা দৃষ্টিকে কখনোই হালকাভাবে নেবেন না। এটি কেবল চশমার সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষণ নয়, বরং ছানির মতো একটি গুরুতর সমস্যাও হতে পারে। সময়মতো রোগ নির্ণয় এবং সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এটি সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।

ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।