Fatty Liver Risk: তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। এর জন্য অনেকাংশেই দায়ী অনিয়মিত জীবনযাপন, বিশেষ করে খাদ্যাভ্যাস। আপনি কী খাচ্ছেন, কখন খাচ্ছনে, কতটা পরিমাণে খাচ্ছেন, তার উপরে অনেকটাই নির্ভর করে যে আপনার ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা দেবে নাকি দেবে না। তবে একথাও ঠিক যে প্রতিদিনের জীবনযাপনের মাধ্যমে সহজ, সাধারণ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে পারলেই ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে ফেলা সম্ভব হয়। 

ফ্যাটি লিভারের সমস্যা এড়াতে কী কী খাবেন? কী কী করবেন দৈনন্দিন জীবনে? জেনে নিন 

স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে, তেল-ভাজা-মশলা বাদ দেওয়াই শ্রেয় 

ফ্যাটি লিভারের সমস্যা এড়াতে চাইলে সবার আগে নজর দিতে হবে প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি। অতিরিক্ত তেল, মশলা যুক্ত খাবার, ভাজাভুজি এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। স্ট্রিট ফুড, জাঙ্ক ফুড যত কম খাবেন ফ্যাটি লিভার হওয়ার সম্ভাবনা তত কমবে। মাঝে মাঝে মুখরোচক খাবার অবশ্যই খান। তবে সেটাই যেন অভ্যাস হয়ে না যায়, তার দিকে নজর রাখতে হবে। বাড়িতে তৈরি খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। কারণ সেক্ষেত্রে তেলের গুণমানের ব্যাপারে কিছুটা হলেও নিশ্চিন্ত হতে পারবেন আপনি। 

নিয়মিত শরীরচর্চা প্রয়োজন 

ফ্যাটি লিভারের সমস্যা এড়াতে চাইলে প্রতিদিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করতে হবে। যোগাসন, জিম, ফ্রি-হ্যান্ড একসারসাইজ কিংবা হাঁটাচলা, দৌড়ানো, জগিং- যেটা সুবিধা সেটাই করুন। তবে নিয়ম করে রোজ শরীরচর্চা করতে হবে। ট্রেনারের পরামর্শ ছাড়া জিমে গিয়ে ভারী শরীরচর্চা করতে যাবেন না। চোত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। রোজ সকালে ১৫-২০ মিনিট যোগাসন অভ্যাস করলে অনেক উপকার পাবেন আপনি। 

পরিমিত জল পান করুন 

পরিমিত পরিমাণে জল খেতে হবে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে চাইলে। রোজ ঠিক পরিমাণে জল খেলে ভাল ভাবে বডি ডিটক্সিফিকেশন হবে। শরীর হাইড্রেটেডও থাকবে। তবে বেশি জল খাওয়া কিন্তু কিডনির পক্ষে ভাল নয়। তাই পরিমিত পরিমাণেই জল পান করুন, তার বেশি নয়। 

মদ্যপান এবং ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করুন 

নিয়মিত মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে তা অবিলম্বে ত্যাগ করুন। মাঝে মাঝে মদ্যপান করা যেতে পারে। তবে সামান্য পরিমাণে। অতিরিক্ত ধূমপানের অভ্যাসও ডেকে আনে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। এই অভ্যাসও দ্রুত ত্যাগ করা দরকার সুস্থ থাকতে চাইলে। 

ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।