কলকাতা: ভোজনরসিক বাঙালিদের অন্যতম প্রিয় খাবার মাছ। মাছ না হলে অর্ধেক দিন খাবার হজম করা মুশকিল হয় অনেকের। অনেকের আবার রোজই মাছের পদ চাই। নইলে ঠিক খাবার খাওয়া হয় না। তবে এর মধ্যেই অনেকে মাছের মাথাটা খেতে বেশি ভালবাসেন। মাছের মাথার স্বাদ রীতিমতো সুস্বাদু। তবে মাছের মাথা খাওয়া শরীরের জন্য কতটা ভাল?


মাছের মাথার পুষ্টিগুণ


মাছের মাথা থেকে প্রায় সবরকম পুষ্টিগুণই পাওয়া যায়। 



  • এর মধ্যে একদিকে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি, অন্যদিকে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট।

  • মাছের মাথায় কোলেস্টেরল ও স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণও অনেকটাই কম‌। 

  • মাছের মাথা সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের গুণে সমৃদ্ধ।

  • এতে সেভাবে কার্বোহাইড্রেট নেই। বরং প্রোটিন অনেকটাই রয়েছে।


মাছের মাথা খাবেন কেন ?



  • মানসিক অবসাদ কমায়: মাছের মাথায় একটা বিশেষ ধরনের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এটির নাম ডোকোসাহেক্সাইনোয়িক অ্যাসিড। এটি মানসিক অবসাদ কমাতে সাহায্য করে।

  • হার্টের রোগ দূর করে: হার্ট ভাল রাখতে সাহায্য করে মাছের মাথা। এর মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও কোলেস্টেরলের পরিমাণ একেবারেই কম। তাই মাছের মাথা খেলে হার্টের রোগের আশঙ্কা কমে।

  • মানসিক চাপ: মানসিক চাপ বা মেন্টাল স্ট্রেস কমাতেও মাছের মাথার বড় ভূমিকা রয়েছে। ওমেগা থ্রি অ্যাসিডই এর কারণ। 

  • মগজ ভাল রাখে: কথাতেই বলে মাছ খেলে বুদ্ধি খুলবে‌। এ মোটেই কথার কথা নয়। কারণ মাছের মাথাতে প্রচুর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এটি মস্তিষ্কের কোশ ভাল রাখতে বিশেষ করে জরুরি।

  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে: বর্তমানে ডায়াবেটিসের সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। মাছের মাথার পুষ্টিগুণ আমাদের মেটাবলিক হার বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে।

  • চোখের যত্ন নেয়: চোখ ভাল রাখতেও মাছের মাথা খাওয়া দরকার। এটি ভিটামিন এ -এর সমৃদ্ধ উৎস। যা চোখের দৃষ্টি ভাল রাখে। বয়স বাড়লেও চোখের সমস্যার ঝুঁকি কমায়।

  • আর্থ্রাইটিসের সমস্যা দূর করে: মাছের মাথার পুষ্টিগুণ অটোইমিউন রোগের ঝুঁকিও কমায়। একটি বিশেষ ধরনের আর্থ্রাইটিসের অটোইমিউন রোগের কারণে হয়। তাঁর ঝুঁকি কমিয়ে দেয় মাছের মাথা‌।

  • স্ট্রেস দূর করতে উপকারী: মাছের মাথা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ।  শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কোশের ক্ষতি করে। ভিটামিন এ-এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সেই স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন - Weight Loss: ভাত খাওয়া ছাড়তে হবে না, শুধু এভাবে খান ! ঝটপট ওজন ঝরবে