Swimming: সাঁতার কাটার (Swimming Benefits) অনেক উপকারিতা রয়েছে। নিয়মিত ভাবে এই অভ্যাস বজায় রাখতে পারলে স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অনেক উপকার পাবেন আপনি। যেমন শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে দারুণ ভাবে সাহায্য করে সাঁতার কাটার অভ্যাস। এর পাশাপাশি অ্যাজমার সমস্যা থাকলে সেক্ষেত্রেও নিরাময় পাবেন আপনি। অনিদ্রা রোগের ক্ষেত্রে অর্থাৎ ঘুমের সমস্যা থাকলে তা দূর হয় নিয়মিত ভাবে সাঁতার কাটলে। এছাড়াও মানসিক অবসাদ, স্ট্রেস কমাতেও সাঁতারের অভ্যাস সাহায্য করে। এমনকি আপনার মন খারাপ থাকলে সেটাও দূর করে সাঁতারের অভ্যাস। 


কিন্তু সাঁতার কাটার সময় অনেকক্ষেত্রে আমাদের চোখের ক্ষতি হয়ে যায়। তাই একটু সতর্ক থাকা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সাধারণ এবং সহজ কিছু নিয়ম মেনে চললে আপনি উপকার পাবেন। তাহলে একনজরে দেখে নেওয়া যাক সাঁতার কাটার সময় কীভাবে নিজের চোখ রক্ষা করবেন আপনি।



  • সাঁতার কাঁটার সময় এক ধরনের স্পেশাল চশমা বা গগলস পাওয়া যায়, সেটা পরে নিতে হবে। সাঁতার কাটার সময় চোখে জলের ঝাপটা লাগতে পারে। এই গগলস পরা থাকলে সেই সময় এড়ানো যাবে। এছাড়াও বেশিরভাগ সুইমিং পুলের জলে ক্লোরিন থাকে যা চোখে গেলে অস্বস্তি তৈরি হয়। তাই চোখে গগলস পরা থাকলে এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব হবে।

  • যাঁরা নিয়মিত সাঁতার কাটেন, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে লুব্রিকেটিং চোখের ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। এই জাতীয় আই ড্রপ চোখে ইনফেকশনের সমস্যা থেকে আপনার চোখকে রক্ষা করবে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ধরনের আই ড্রপ ব্যবহার না করাই ভাল।

  • একটানা অনেকক্ষণ সাঁতার না কাটাই ভাল। যদি অনেকক্ষণের সুইমিং সেশন থাকে, সেক্ষেত্রে মাঝে মাঝে বিরতি নেওয়া প্রয়োজন। এর ফলে আপনার চোখ আরাম পাবে। জলের থেকে কিছুক্ষণ চোখ দূরে থাকলে সুবিধাই হবে আপনার।

  • সাঁতার সেরে বাড়িতে ফিরে বা যেখানে সাঁতার কাটতে যান সেখানে ব্যবস্থা থাকলে তাড়াতাড়ি স্নান সেরে নেওয়া প্রয়োজন। সাধারণ জলে স্নান করে নিলে চোখে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।

  • যদি সাঁতার কাটার পর চোখে কোনও অস্বস্তি অনুভূত হয় তাহলে কখনই চোখ চুলকে ফেলবেন না বা রগড়াবেন না। এর ফলে যদি কোনও ইনফেকশন হয়ে থাকে তাহলে তা বেড়ে যাবে। অসুবিধা দেখা দিলে অবহেলা না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।


আরও পড়ুন- খাওয়ার আগে ভিজিয়ে রাখেন? কোন কোন খাবারে এমন করতেই হবে?