কলকাতা: শহরে শীত ঢুকে পড়েছে। জাঁকিয়ে ঠান্ডা না পড়লেও শীত শীত আমেজ। দেদার খাওয়া-দাওয়ার এই মরশুমে সুস্থ থাকাও বেশ চ্য়ালেঞ্জিং। আবহাওয়া বদলের সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে পেটের সমস্যা। গ্যাস অম্বলও এই সময়ের নিত্যসঙ্গী। সবমিলিয়ে শীতকালীন রোগবালাইয়ের সঙ্গে লড়াই মাঝেমধ্যে বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। তাই এই আবহাওয়ায় সুস্থ থাকতে বেশ কয়েকটি দিক মাথায় রাখা জরুরি। এই মরশুমে তাই কয়েকটা খাবার বাদ দিতে পারেন ডায়েটের তালিকা থেকে। জেনে নেওয়া যাক, সেগুলো কী কী।                         


ঠান্ডা পানীয়: কোল্ড ড্রিঙ্ক, প্যাকেটজাত ফ্রুট জুস ইত্যাদি না খাওয়াই ভাল। অনেকেই হজমের কথা ভেবে খাবার শেষে কোল্ড ড্রিঙ্ক পান করে থাকেন, এতে আদৌ কোনও উপকার তো হয়ই না, বরং শরীরে একাধিক ক্ষতি হতে পারে। দেখা দিতে পারে পেটের সমস্যাও। 


অতিরিক্ত ক্য়াফেইন নয়: কফি বা ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলুন। শীতকালে ঘনঘন চা কফি খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এ ছাড়াও কফি শরীরের জলের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। চা, কফিতে থাকা ক্যাফেইন শরীরে আর্দ্রতা কমিয়ে শরীরের ক্ষতি করে। শীতে এমনিতেই জল কম খান অনেকেই, তারওপর জলের আরও ঘাটতি সমস্যা বাড়াতে পারে। কাজেই ঘনঘন চা বা কফি খাওয়ার আগে সতর্ক হন। 


তেল-মসলা এড়িয়ে চলুন: তেল মশলা যতটা সম্ভব কম খান শীতে। এই সময়ে নানান মুখরোচক খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। সঙ্গে দেদার চলে ভাজাভুজি খাওয়াও।  যেহেতু শীতের মরসুমে ঘাম ঝরানোর অবকাশ তুলনামূলক কম তাই এ ধরনের খাবার নাও হজম হতে পারে। পেটের সমস্যার পাশাপাশি বাড়তি মেদও জমতে পারে। 


ধূমপান: শীতকালে অতিরিক্ত ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক হতে পারে। যাঁদের সিওপিডির সমস্যা রয়েছে, তাঁরা অবশ্যই ধূমপান কমিয়ে দিন। শীতকালে অতিরিক্ত মদ্যপানও বিপদ ডেকে আনতে পারে।  


এছাড়াও শীতকালে কাঁচা শাকসবজি খেতে নিষেধ করেন পুষ্টিবিদরা। শীতকালে যেহেতু হজমের সমস্যা দেখা দেয়, তারওপর কাঁচা খাবার খেলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। এই সময়ে বাদ দিতে হবে প্রসেসড ফুড যেমন সসেজস, বেকন ইত্যাদি। 


আরও পড়ুন: Runny nose : নাক দিয়ে জল পড়া মানেই সর্দি নয় ! হতে পারে টিউমর বা মস্তিষ্কের বিশেষ অংশে ফাটলও