Winter Health Care: শীতের মরসুমে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তার মধ্যে সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা তো রয়েইছে। কিন্তু শীতের মরসুমে কল জল খাওয়ার কারণে আর একটা সমস্যাও দেখা দেয়। সেটি হল কোষ্ঠকাঠিন্য (Constipation)। অনেকে সারা বছরই হয়তো এই সমস্যা ভোগেন, কষ্ট পান। তবে অনেকের ক্ষেত্রে শুধু শীতের মরসুমেই (Winter Season) এই সমস্যা দেখা দেয়। এর অন্যতম কারণ হল কম জল খাওয়া। আবহাওয়া ঠান্ডা থাকার কারণে অন্যান্য সময়ের তুলনায় হয়তো অনেকেই কম জল খান। রুক্ষ শুষ্ক আবহাওয়া এবং কম জল খাওয়ার কারণে আপনার শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দেয় অর্থাৎ শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। এর ফলে বদহজমের সমস্যার পাশাপাশি দেখা দেয় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। তাই শীতের মরসুমের পরিমিত জল খাওয়া চালু রাখা প্রয়োজন। নাহলে শরীর বিভিন্ন ভাবে খারাপ হতে পারে।


কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করার জন্য শীতের মরসুমে বিশেষ করে যেগুলো খাবেন


কমলালেবু- শীতের মরসুমি ফল হদিশ মলালেবু। এই ফল রোজ অন্তত একটা করে খান। তার ফলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে তা দূর হবে। এই ফলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এর মাধ্যমে আপনার সর্দি, কাশি এবং সেই সঙ্গে জড়িত অন্যান্য সমস্যাও দূর হতে পারে।


খেজুর- কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে পারে খেজুর। তাই রোজ সকালে ২টো করে খেজুর খান। চাইলে জলে ভিজিয়েও খেজুর খেতে পারেন। এছাড়াও এই ফল শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিকভাবে বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই রক্তাল্পতার সমস্যা কমাতেও কাজে লাগে এই ফল। 


কিশমিশ- কিশমিশের মধ্যে রয়েছে অনেক গুণ। এই ড্রাই ফ্রুট কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে কিশমিশ। রোজ সকালে দুটো বা তিনটে কিশমিশ খেতে পারেন। যেদিন কিশমিশ খাবেন তার আগের দিন রাতে জলে ভিজিয়ে রাখতে পারেন কিশমিশ। এমনকি কিশমিশ ভেজানো জল খেলেও উপকারিতা পাওয়া যায়। 


আমলকি- শীতের মরসুমে আমলকি খেলে শুধু কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে তাই নয়, এই ফল সর্দি, কাশির সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে। আমলকি সেদ্ধ করে গরম ভাতের সঙ্গে মেখে খেতে পারেন। কিংবা আমলকির রস করেও খেতে পারেন। 


মেথি- রোজ সকালে মেথি ভেজানো জল খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ভাল। এর মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। তাছাড়াও নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তচাপ। শরীরে অন্যান্য সমস্যাও দূর করে মেথি এবং মেথি ভেজানো জল। 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।