কলকাতা : আজ ২ অক্টোবর। আমাদের জাতির জনক মহাত্মা গাঁধীর (Mahatma Gandhi) জন্মদিন। আজ তাঁর জন্মদিনে তাঁর সম্পর্কে আসুন জেনে নিই কিছু অজানা তথ্য। হতেই পারে এগুলো সবই আপনার জানা। সেক্ষেত্রে আরও একবার এগুলো নিয়ে আলোচনা করতে ভালই লাগবে। আর জানা না থাকলে, এই বিশেষ দিনে জাতির জনকের সম্পর্কে দুটো নতুন তথ্য জানতে বেশ ভালই লাগবে। তাহলে এক-এক করে শুরু করা যাক। - 


১) মহাত্মা গাঁধীর নাম পাঁচ-পাঁচবার নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত বা বিবেচিত হয়েছিল। কিন্তু কোনওবারই তিনি শেষ পর্যন্ত নোবেল শান্তি পুরস্কার পাননি।


২) যে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে মহাত্মা গাঁধীর এত আন্দোলন, সেই গ্রেট ব্রিটেনের পক্ষ থেকেই গাধীঁজির মৃত্যুর ২১ বছরের মাথায় স্ট্যাম্প প্রকাশ করে। 


৩) মহাত্মা গাঁধীর শেষযাত্রায় যে অগণিত মানুষের ঢল নেমেছিল রাস্তায় তা বলাইবাহুল্য। শোনা যায়, সেই আমলেও মহাত্মা গাঁধীর শেষযাত্রায় মানুষের যে ভিড় ছিল, তা আট কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ ছিল। 


৪) আমাদের দেশে তো প্রায় প্রতিটি শহরে কিংবা গ্রামের রাস্তায় তাঁর নামে নামকরন করা হয়েছে। জানেন কি, আমাদের দেশের বাইরেই অন্তত বিশ্বের ৫০টা রাস্তার নাম মহাত্মা গাঁধীর নামে? 


৫) খেয়াল করে দেখবেন স্টিভ জোবস আর মহাত্মা গাঁধীর চশমার ফ্রেম একইরকম। এটা একেবারেই কাকতালীয় নয়। বরং স্টিভ জোবসের পক্ষ থেকে এটাই মহাত্মা গাঁধীর জন্য তাঁর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন। 


৬) গাঁধীর সম্পর্কে অনেক গল্প শোনা যায়। তার একটি হল, তিনি একদিন ট্রেনে করে যাচ্ছিলেন। আর তাঁর একটি জুতোর পাটি ট্রেন থেকে পড়ে যায়। গাঁধীজি সঙ্গেসঙ্গে তাঁর অন্য পাটি জুতোটিও ফেলে দেন। পরিষ্কার যে, তিনি ভাবতেন, যিনিই ওই জুতোটি পাবেন, তিনি যেন সেটা ব্যবহার করতে পারেন। 


৭) এমনিতে মহাত্মা গাঁধীর মাতৃভাষা ছিল গুজরাটি। তবে, তিনি ইংরেজিতেও খুব দক্ষ ছিলেন। কারণ, তিনি রাজকোটে অ্যালবার্ট হাইস্কুলে পড়াশোনাও করেছিলেন। কিন্তু তিনি যে ইংরেজি বলতেন, তাতে অনেকটা আইরিশ উচ্চারণভঙ্গী থাকতো। তার কারণ, শুরুর দিকে তিনি যাঁর কাছে ইংরেজি শিখতেন সেই শিক্ষক মহাশয় ছিলেন একজন আইরিশ। 


৮) তাঁর অর্থের প্রতি টান না থাকা সত্বেও, শোনা যায় দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকাকালীন সেই আমলেও মহাত্মা গাঁধী ১৫ হাজার ডলার উপার্জন করতেন। যা আজকের দিনেও ভাবলে অনেক বেশি লাগে। এতটাই যোগ্য ছিলেন তিনি। 


৯) গাঁধীজি তাঁর আত্মজীবনী লিখেছিলেন গুজরাটি ভাষাতেই। পড়ে তাঁর ব্যক্তিগত সচিব মহাদেব দেশাই বইটির বাংলা অনুবাদ করেন। 


১০) কীভাবে গাঁধীজি মহাত্মা নামে পরিচিতি পেলেন, সেই গল্পটাও বেশ মজার। শান্তিনিকেতনে গাঁধীজি দেখা করতে আসেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে। রবি ঠাকুরের সঙ্গে প্রথম দেখা হওয়ার মুহূর্তেই গাঁধীজি তাঁকে বলেন 'নমস্কার গুরুদেব'। সঙ্গে-সঙ্গে কবিগুরু তাঁকে বলেন, 'আমি যদি গুরুদেব হই, আপনি তাহলে মহাত্মা।' ব্যস, এভাবেই তিনি মহাত্মা গাঁধী নামে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।