Goosebumps: বিভিন্ন সময় আমাদের শরীরে গায়ে কাঁটা দেয়। কখনও কারও স্পর্শে, কখনও কারও কথা শুনে, কখনও আবার গান শুনে রোম খাড়া হয়ে যায়। কোনও কোনও সময় আবার ভূতের গল্প শুনে ভয়ে গায়ে কাঁটা দেয়। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন কি, কেন বিশেষ বিশেষ সময় আমাদের গায়ের লোমগুলি খাড়া হয়ে যায় ? এর শারীরবৃত্তীয় কারণটি কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গায়ে কাঁটা দেওয়ার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মানুষের আবেগ।
গাঁয়ে কাঁটা দেওয়ার পিছনে আছে বৈজ্ঞানিক কারণ। ইংরেজিতে একেই "goosebumps" বলা হয়ে থাকে। চিকিৎসাশাস্ত্র মতে, চুলের বৃদ্ধিকে বলা হয় পাইলোরেকশন ( hair growth is called piloerection)। একে cutis anserina বা horripilation ও বলা হয়ে থাকে। এটি একটি খুব স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় ঘটনা। কোনও কোনও ক্ষেত্রে রোমকূপগুলি দানা দানা আকারে ফুলে ওঠে। আর তাতেই স্বাভাবিক ভাবে রোম খাড়া হয়ে যায়। একেই বলে গায়ে কাঁটা দেওয়া।
গায়ে কাঁটা দেওয়ার বৈজ্ঞানিক কারণ হল অ্যাড্রেনালিন নামক স্ট্রেস হরমোন ( stress hormone called adrenaline)। ভূতের সিনেমা দেখার পর যখন কেউ ভয় পায়, তখন কিডনির উপরে অবস্থিত অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি শরীরে অ্যাড্রিনালিন হরমোন ( adrenal gland ) নিঃসরণ করে। অ্যাড্রেনালিন হরমোন সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে ত্বকের নিচের পেশীগুলি সংকুচিত হয় এবং এর ফলে রোম খাড়া হয়ে যায়।
গায়ে কাঁটা দেওয়ার কারণ
ঘুমের মধ্যেও কখনও ভয় পেলে এমনটা ঘটে থাকে। আবার কেউ ভয়ের ছবি দেখলেও গায়ে কাঁটা দিতে পারে। আবার পুরনো কোনও ঘটনা বা বিশেষ কোনও মুহূর্ত স্মরণ করেও এমন অনুভূতি আসতে পারে।
কারও কারও ক্ষেত্রে আবার এমন অনুভূতি হয়, যখন কেউ গান শোনেন। মস্তিষ্কের অনেক স্নায়ু অডিটরি কর্টেক্সের (auditory cortex) সঙ্গে যুক্ত। যখন বিশেষ কোনও গান শুনি, সেই গানের কথা বা সুর আমাদের শরীরে একটি বিশেষ অনুভূতির সৃষ্টি করে। তখনই গায়ে কাঁটা দেয়।
কেউ যখন বিশেষ কোনও বিষয়ে অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন, তখন গায়ে কাঁটা দিতে পারে। কখনও কখনও,আকস্মিক মানসিক পরিবর্তন হলেও এমনটা ঘটতে পারে। এর পিছনের কারণটি হল স্ট্রেস হরমোন অ্যাড্রেনালিন।
আরও পড়ুন :
আজ কোন জেলায় কয়টি জেলা পরিষদ, কয়টি পঞ্চায়েত সমিতি, কয়টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোটগণনা ?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial