Eggs For Hair Care: চুলের যত্ন করার জন্য অনেকেই ডিম মাখেন। মূলত চুলের জেল্লা ফেরাতে, চুল নরম রাখতে এবং চুলের গঠন মজবুত করতে সাহায্য করে ডিমের মধ্যে থাকা বিভিন্ন ধরনের উপকরণ। তবে চুলে শুধু ডিম মাখলেই হবে না, ডিম খেতেও হবে, এমনটাই মত একাধিক বিশেষজ্ঞের। আসলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনশৈলী, পরিবেশের দূষণ, আবহাওয়া, আমাদের খাদ্যাভাস ইত্যাদি একাধিক কারণে চুলের একাধিক সমস্যায় আমরা জেরবার হই। নারী, পুরুষ নির্বিশেষে চুলের সমস্যা সকলের ক্ষেত্রেই দেখা যায়। তাই সারা বছরই সঠিকভাবে চুলের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
কেন চুলের পরিচর্যায় ডিম কাজে লাগে এবং কী কী ভাবে ব্যবহার করা যায়, একঝলকে দেখে নেওয়া যাক
- ডিমের মধ্যে রয়েছে একাধিক পুষ্টি উপকরণ। এই তালিকায় ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, বায়োটিন ইত্যাদি রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ফোলেট। এই সমস্ত উপকরণ চুলের গোছ বা থিকনেস সঠিকভাবে বজায় রাখতে সাহায্য করে। অর্থাৎ চুল পাতলা হয়ে যেতে দেয় না।
- রোজ জলখাবারে একটা ডিম সেদ্ধ খাওয়াই যায়। অনেকে ডায়েট করার জয় ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে শুধু সাদা অংশ খান। এতে বিশেষ উপকার নেই। কারণ ডিমের কুসুমের মধ্যেই থাকে গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত উপকরণ যা চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।
- শারীরিক কোনও সমস্যা থাকলে যেমন হাই প্রেশার, বদহজমের সমস্যা ইত্যাদির ক্ষেত্রে রোজ ডিম খাবেন কিনা সেই প্রসঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। এমনিতেও ডায়েট বা মেনুতে নিয়মিত ভাবে কিছু যোগ করতে চাইলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। নাহলে আপনার স্বাস্থ্যে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- ডিমের কুসুমের মধ্যে থাকে বিভিন্ন হেলদি ফ্যাটস। এর সাহায্যে চুলে আর্দ্রতা বজায় থাকে অর্থাৎ চুল রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে লালচে রঙ দেখা যায় না। এর পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। চুল পড়ার সমস্যা কমায়। চুলের গোড়া শক্ত করে, উজ্জ্বলতা বাড়ায়, নতুন চুল গজাতে এবং ডগা ফাটার সমস্যা রোধ করতেও সাহায্য করে।
বাড়িতেই ডিমের সঙ্গে বেশ কিছু উপকরণ মিশিয়ে সহজে তৈরি করে নিতে পারেন বিভিন্ন ধরনের এগ হেয়ার মাস্ক
- সাধারণত চুল যাতে সিল্কি এবং শাইনি দেখায় অর্থাৎ চুল উজ্জ্বল, নরম, মোলায়েম হয় সেই জন্য ডিম লাগানো হয়। অলিভ অয়েলের সঙ্গে ডিম মিশিয়ে তৈরি করে নেওয়া যায় হেয়ার মাস্ক। এর সঙ্গে যোগ করুন পাকা কলা এবং মধুও।
- ডিম, নারকেল তেল এবং আমন্ড মিল্ক মিশিয়েও বাড়িতে সহজে তৈরি করে নিতে পারেন এগ হেয়ার মাস্ক। তবে এক্ষেত্রে ডিমের সাদা অংশটুকুই ব্যবহার হবে। কুসুম দেওয়া যাবে না।
- অ্যালোভেরা জেল এবং ডিম মিশিয়ে তৈরি করা যায় আরও এক ধরনের হেয়ার মাস্ক। এক্ষেত্রে ডিমের কুসুম দিতে পারেন দুটো। আর মেশাতে পারেন সামান্য গরম করা অলিভ অয়েল।
- পাতিলেবুর রস, টক দই এবং ডিম মিশিয়েও তৈরি করা যায় এগ হেয়ার মাস্ক। সমস্ত ধরনের এগ হেয়ার মাস্ক চুলে লাগাওর পর ভালভাবে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিতে হবে। নাহলে চুলে আঁশটে গন্ধ দেখা যাবে।
আরও পড়ুন- প্রথমবার মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করছেন? সুরক্ষার জন্য খেয়াল রাখুন কয়েকটি বিষয়