Hair Fall Due To Stress: সারাদিনে বিভিন্ন কারণে আমাদের স্ট্রেসের (Stress) পরিমাণ বাড়তে পারে। অফিসে কাজে চাপ, পারিবারিক সমস্যা, এইসবই উদ্বেগ, দুশ্চিন্তার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। আর তার সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে চুলের স্বাস্থ্যে (Hair Fall Due to Stress)। স্ট্রেসের কারণে চুল পড়ার পরিমাণ বাড়তে পারে। এক্ষেত্রে সহজ কয়েকটি বিষয় (Hair Care Tips) মেনে চলতে পারলে আপনি উপকার পাবেন। কিন্তু যদি বুঝতে পারেন অত্যধিক হারে চুল ঝরছে, তাহলে অবহেলা না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। নাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
স্ক্যাল্পে অয়েল ম্যাসাজ
সারাদিনের পরিশ্রমের পর যদি বুঝতে পারেন আজ স্ট্রেসের পারদ চড়েছে তাহলে চেষ্টা করুন স্ক্যাল্পে অয়েল ম্যাসাজ করতে। যদি সুগন্ধ যুক্ত কোনও এসেনসিয়াল অয়েল দিয়ে মাথার তালুতে আলতো হাতে মালিশ করতে পারেন তাহলে আরাম তো পাবেনই। সেই সঙ্গে কমবে স্ট্রেস। আর মাথার তালুতে তেল মালিশের ফলে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ভালভাবে সম্পন্ন হবে। হেয়ার ফলিকলের মুখগুলো উন্মুক্ত হবে। চুল পড়ার সমস্যা কমার সঙ্গে সঙ্গে নতুন চুল গজাতেও পারবে।
খাওয়া-দাওয়া হোক স্বাস্থ্যসম্মত
চুল স্বাস্থ্যের সার্বিকভাবে খেয়াল রাখার জন্য খাওয়া-দাওয়ার দিকে অবশ্যই নজর দেওয়া প্রয়োজন। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেলে তবেই আপনার চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। যাঁদের চুল পড়ার সমস্যা রয়েছে তাঁরা ভাজাভুজি, অতিরিক্ত তেল যুক্ত খাবার, মশলাদার খাবার এগুলি এড়িয়ে চলাই মঙ্গলের। সহজপাচ্য খাবার খাওয়া দরকার। নাহলে অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে, যার ফলে পেটের সমস্যা এবং সেই সঙ্গে চুল পড়ার সমস্যা বাড়তে পারে।
মেডিটেশন বা ধ্যানের অভ্যাস
স্ট্রেসের কারণে চুল পড়ার পরিমাণ বাড়তে পারে। তাই স্ট্রেস কমানোর জন্য বাড়িতে আপনি মেডিটেশন বা ধ্যান করার অভ্যাস রাখতে পারেন। মেডিটেশন করলে মন শান্ত থাকবে। একইসঙ্গে মস্তিষ্ক সজাগ ও প্রখর হয়। ফলে মাথা গরম করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিবর্তে ভেবেচিন্তে বিচার-বুদ্ধি-বিবেচনার মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবেন আপনি। মন মেজাজ শান্ত রাখার জন্য, রাগ কমানোর অন্যতম উপায় হল ধ্যান করা। এর ফলে স্ট্রেস কমবে। আর যেহেতু স্ট্রেস কমবে তার ফলে চুল পড়ার সমস্যাও ধীরে ধীরে কমতে থাকবে।
সঠিক পরিমাণে ঘুমের কোনও বিকল্প নেই
প্রতিদিন সঠিক পরিমাণে ঘুম না হলেও বাড়তে পারে স্ট্রেসের পরিমাণ এবং তার প্রভাব পড়তে পারে চুলের স্বাস্থ্যে। অতএব প্রতিদিন রাতে সাত থেকে আট ঘণ্টার 'সাউন্ড স্লিপ' প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে, রাতে না ঘুমিয়ে, দিনের বেলা ঘুমিয়ে নিলে সেই ঘাটতি পূরণ হয় না। অর্থাৎ রাতের ঘুম রাত্রিবেলাতেই ঘুমোতে হবে। টানা রাত জেগে দিনের বেলায় অনেকটা সময় ধরে ঘুমিয়ে নিলেও উপকার পাবেন না।
স্ট্রেস কমাতে যোগাসন অভ্যাসে মন দিন
স্ট্রেস কমানোর জন্য যোগাসন অভ্যাস করতে পারেন প্রতিদিন। যাঁরা প্রথমবার যোগাসন শুরু করছেন, অবশ্যই প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিন। নিজে নিজে জটিল ধরনের যোগাসন করতে যাবেন না। চোট-আঘাত পেতে পারেন। যোগাসন অভ্যাস করতে পারলে স্ট্রেস যেমন কমবে, তেমনই দূর হবে আরও অনেক শারীরিক সমস্যা। আর চুল পড়ার সমস্যাও যে কমবে সেটাও বোঝা যাচ্ছে স্পষ্ট ভাবে।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন- গরমকালে ব্রনর সমস্যা কমানোর জন্য কী কী নিয়ম মেনে চললে উপকার পাবেন আপনি ?