Hair Growth Tips: বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন (Vitamin) এবং মিনারেলস (Minerals) সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেলে তবে আপনার চুল সঠিক মাত্রায় (Hair Growth) লম্বায় বৃদ্ধি পাবে এবং সার্বিকভাবে ভাল থাকবে চুলের স্বাস্থ্য (Hair Care Tips)। এবার জেনে নেওয়া যাক চুলের বৃদ্ধিতে কোন কোন খনিজ উপকরণ সাহায্য করে।
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড চুল পড়ার সমস্যা কমায়, চুলের গঠন মজবুত করে, চুলের গোড়া শক্ত করে, চুলের টেক্সচার বা ধরন ঠিক করে, পাতলা চুলের সমস্যা দূর করে, নতুন চুল গজাতে এবং চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। মাছ, ডিম, বিভিন্ন ধরনের বীজ ও বিভিন্ন ধরনের বাদামের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে।
ম্যাগনেসিয়াম
ম্যাগনেসিয়াম এমন একটি খনিজ উপকরণ যা হেয়ার ফলিকলের মুখগুলি উন্মুক্ত করে, কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে এবং চুলের সঠিক মাত্রায় বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে মেনুতে যোগ করতে পারেন বিভিন্ন ধরনের সবুজ রঙের শাকসবজি, অ্যাভোকাডো, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, ছোলা, ডালজাতীয় শস্য- এইসব খাবার। এগুলি খেলে চুলের একাধিক সমস্যা দূর হবে।
সেলেনিয়াম
এটি আসলে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চুলের অনেক সমস্যা দূর করে। তার মধ্যে চুল পড়া, পাতলা চুল, খুশকি এইসব রয়েছে। এছাড়াও চুলের ঘনত্ব বাড়াতে এবং চুলের সঠিক বৃদ্ধিতেও এই উপকরণ সহায়তা করে। সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে আপনি পাতে রাখতে পারেন মাছ, মাংস, ডিম, বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং হোল গ্রেনস। এইসব খাবার খেলে চুলের স্বাস্থ্য এমনিতেই ভাল থাকবে।
জিঙ্ক বা দস্তা
চুলের সঠিক মাত্রায় বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল জিঙ্ক বা দস্তা। এছাড়াও চুলের রুক্ষ, শুষ্ক ভাব দূর করে এই খনিজ উপকরণ। এর পাশাপাশি চুল মাঝখান থেকে ভেঙে যাওয়া, চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার মতো সমস্যাও দূর করে জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার। জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার খেলে হেয়ার ফলিকলের মুখগুলি উন্মুক্ত হবে। ফলে নতুন চুল গজাবে। জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে মাংস, বাদাম, বিভিন্ন বিনজাতীয় শস্য, ডালজাতীয় শস্য এগুলি খেতে পারেন, চুলের বৃদ্ধি ঘটবে।
আয়োডিন
চুলের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ হল আয়োডিন। এই উপকরণ স্ক্যাল্প বা মাথার তালুতে সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সাহায্য করে। এছাড়াও সঠিক মাত্রায় থাইরয়েড হরমোনের ক্ষরণে সাহায্য করে যার ফলে নতুন চুল গজাতে পারে, চুল বৃদ্ধি পায় এবং চুলের ঘনত্ব বাড়ে। খাবারের মধ্যে সঠিক পরিমাণে নুন থাকলেই আপনার শরীরে আর আয়োডিনের ঘাটতি হবে না। তাই বলে খাবারের পাতে কাঁচা নুন খেয়ে আয়োডিনের পরিমাণ বাড়াতে যাবেন না। তার জেরে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন- ডায়াবেটিস থাকলেই স্ট্রোকের ঝুঁকি ? বলে দেবে অন্য একটি রোগ