Hair Cutting Benefits: চুল কাটা দরকার কি শুধুই স্টাইলের জন্য? একেবারেই তা নয়। চুল কাটার অনেক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। একথা ঠিক যে কেউ মেকওভার করতে চাইলে হেয়ার স্টাইল বদলানো অত্যন্ত জরুরি বিষয় হয়ে যায়। মুখের আদল অনুসারে চুলের স্টাইল হলে বলা ভাল মুখের গড়ন অনুসারে চুল কাটলে দেখতে মানানসই লাগে। কিন্তু নিয়ম করে ২-৩ মাস অন্তর অন্তত চুলের ডগা ছেঁটে নেওয়া উচিৎ। তাহলে একাধিক উপকার পাবেন আপনি।
কেন কয়েক মাস অন্তর চুল কাটা দরকার, জেনে নিন
- মানসিক অবসাদ ঘিরে থাকলে নিজের হেয়ার স্টাইল বদলে দেখুন। মন-মেজাজ ভাল হতে বাধ্য। চুল কাটলে কিছুটা হলেও আমাদের দেখতে অন্যরকম লাগে। লুক পরিবর্তন হয়। একঘেয়ে লুকের থেকে এই বদল বেশ ভালই লাগে।
- তবে এইসবের পাশাপাশি চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্যেও চুল কাটার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যাঁদের চুল অনেক লম্বা, তাঁরা মাঝে মাঝে চুলের ডগা ছেঁটে নিন। নাহলে চুলের ডগা ফাটার সমস্যা দেখা দেবে।
- যাঁদের এমনিতেই স্প্লিট এন্ডসের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা মাঝে মাঝেই চুলের ডগা ছেঁটে নিন। নাহলে অসুবিধা বাড়বে। অনেকের চুল মাঝখান থেকে ভেঙে যায়। চুলের এই জাতীয় ক্ষয় রুখতেও চুলের লম্বা অংশ মাঝে মাঝে কেটে নেওয়া উচিৎ।
যাঁদের চুল লম্বায় খুব বাড়ে তাঁরা অবশ্য চুল বেশ খানিকটা বাড়িয়ে নিয়ে তারপর কাটার দিকে নজর দিন। নাহলে কখনই চুল সঠিক মাত্রায় বৃদ্ধি পাবে না। প্রয়োজনে আপনি বাড়িতেই চুলের ডগার অংশ ছেঁটে নিতে পারেন। সবসময় পার্লারে যাওয়ার দরকার পড়ে না।
চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য অয়েল ম্যাসাজ করা প্রয়োজন। কিন্তু স্ক্যাল্পে বা চুলে অয়েল ম্যাসাজ করতে গিয়ে আমরা প্রায় সকলেই কিছু ভুল করে থাকি। অজান্তে করা এইসব ভুল সমস্যা ডেকে আনে। চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হয়। সবার আগে দেখা দেয় চুল পড়ার সমস্যা। তাহলে জেনে নেওয়া যাক, চুলে তেল মালিশ করার সময় কোন কোন ভুল একেবারেই করা চলবে না।
- স্ক্যাল্প অর্থাৎ মাথার তালু এবং চুল অতিরিক্ত তেলতেলে বা তৈলাক্ত ধরনের হলে অয়েল ম্যাসাজ করার ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিৎ।
- চুলের লম্বা অংশ হোক বা মাথার তালু অর্থাৎ স্ক্যাল্প, যেখানেই তেল ম্যাসাজ করুন না কেন তা আলতো হাতে, হাল্কা ভাবে করতে হবে।
- জোরে ঘষে চুলে এবং স্ক্যাল্পে অয়েল ম্যাসাজ করলে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যায়।
আরও পড়ুন- তিল খাওয়া কেন ভাল? এই বীজ আমাদের শরীরের কোন কোন সমস্যা দূর করে?
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।