কলকাতা: চুল ঝরছে তো ঝরছেই। কী করে আটকানো যায় ভাবতে ভাবতেই যেন আরও বেশি চুল ঝরে যায় ! চুল পড়ার সমস্যা খুব নতুন কিছু নয়। বরং প্রায় সব বয়সের পুরুষ ও মহিলাই এই সমস্যায় ভোগেন। কারও কারও ক্ষেত্রে এই সমস্যা গুরুতর হয়ে যায়। কারও ক্ষেত্রে টাক পড়ার জোগাড়। কিন্তু কেনই বা চুল পড়ে এত ? এর জন্য জানা দরকার চুলের কিছু বিশেষ খুঁটিনাটি। সেগুলি জানলে চুল পড়ার কারণটাও বোঝা সহজ হয়।‌


এনএইচএস ইউকে-এর একটি সমীক্ষা বলছে মহিলাদের মধ্যে ৫০ শতাংশই ৬৫ বছরের পর চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন। অন্যদিকে পুরুষদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ নিয়মিত চুল পড়া সমস্যার সম্মুখীন হন। কেন চুল পড়ে? তার আগে বরং জেনে নেওয়া যাক, চুল কীভাবে পড়ে?


চুল কীভাবে বাড়ে? 


চুল বাড়ার চারটি ধাপ রয়েছে। এই ধাপগুলি হল অ্যানাজেন, ক্যাটাজেন, টেলোজেন ও এক্সোজেন। 



  • অ্যানাজেন: চুলের এই পর্যায়টি দুই থেকে আট বছর পর্যন্ত চলে। এটিই সবচেয়ে দীর্ঘ  পর্যায়।‌ যেকোনও সময় আমাদের মাথায় যত চুল থাকে, তার ৮০-৯০ শতাংশই অ্যানাজেন চুল।

  • ক্যাটাজেন: অ্যানাজেনের তুলনায় এই প্রক্রিয়া অনেকটাই ছোট। এটি মাত্র চার থেকে ছয় সপ্তাহ চলে। এই সময় চুল রক্ত সঞ্চালনের ফলে সরাসরি কোনও সুবিধা পায় না।

  • টেলোজেন: দুই থেকে তিন মাস এই পর্যায়টি থাকে। এই অবস্থায় চুল বাড়েও না, পড়েও না। 

  • এক্সোজেন: এই পর্যায়ে চুল পড়তে শুরু করে। দিনে কমবেশি ৫০ থেকে ১৫০টা চুল পড়াকে স্বাভাবিক বলেই ধরা হয়।


চুল‌ পড়ার বড় কারণ


মানসিক চাপ: চুল পড়ার বেশ‌ কয়েকটি কারণ রয়েছে‌। এর মধ্যে অন্যতম হল মানসিক চাপ। রোজকার জীবনযাপন, কাজ ও পারিপার্শ্বিক চাপে চুল‌ পড়ার হার বেড়ে যায়। 


সন্তানপ্রসবের পর: গর্ভাবস্থায় চুলের বৃদ্ধি হতে থাকে। কিন্তু সন্তান প্রসবের পর চুলের টেলোজেন ও এক্সোজেন দশা শুরু হয়। যার ফলে চুল পড়ার হার বাড়ে।


বয়স বেড়ে যাওয়া: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুল পড়ার হার বাড়তে থাকে। এর মূল কারণ চুলের বৃদ্ধি এই সময় কমে যায়। ফলে নতুন চুল আর গজায় না। এতে মাথায় চুলের সংখ্যা কমতে থাকে।


জিনগত: জিনগত কারণেও চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।‌ এই সমস্যা বাড়িতে আগের প্রজন্মের থেকে পরের প্রজন্মে আসে। ফলে একটা বয়সের পর চুল নিজে থেকেই পড়তে শুরু করে।


তথ্যসূত্র: আইএনএস লাইফ


আরও পড়ুন: Exercise for Mental health: মন ভাল রাখতে কেন ব্যায়াম করতে বলেন চিকিৎসকরা ?