Hair Growth Nutrients: অনেকের ক্ষেত্রে চুল লম্বায় (Hair Growth) বৃদ্ধি না পাওয়ার সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। এই সমস্যার (Hair Problems) সমাধান করতে চাইলে আপনাকে নজর দিতে হবে খাওয়া-দাওয়ার দিকে। চুলের সঠিকভাবে বৃদ্ধির জন্য (Hair Care Tips) প্রয়োজন সঠিক পুষ্টি। আর চুলের সঠিকভাবে পুষ্টির জোগান দেয় আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস। আমরা কী ধরনের খাবার খাচ্ছি তার উপরে চুলের স্বাস্থ্য অনেকটাই নির্ভর করে। এর পাশাপাশি পরিচর্যা এবং যত্নের বিষয়টি তো রয়েইছে। চুল লম্বার দ্রুত বৃদ্ধি করার জন্য বেশ কিছু নিউট্রিয়েন্টস বা পুষ্টি উপকরণ সাহায্য করে। এই তালিকায় কোন কোন ধরনের খাবার রয়েছে চলুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক। 


কোন ধরনের খাবার খেলে আপনি উপকার পাবেন? দেখে নিন


জিঙ্ক- এই মিনারেলস সমৃদ্ধ খাবার চুলের গ্রোথ বা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কাজে লাগে। জিঙ্ক এই উপকরণ আমাদের হেয়ার ফলিকলগুলিকে উজ্জীবিত করে। হেয়ার ফলিকলের মুখগুলি খুলে দেয়। ফলে নতুন চুল গজাতে পারে। সাধারণভাবে জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার বলতে আমরা দৈনন্দিন জীবনের ডায়েটে যোগ করতে পারি ডিম, মাংস, বাদাম, বিভিন্ন দানাশস্য। বিভিন্ন সামুদ্রিক খাবারের মধ্যেও ভরপুর জিঙ্ক থাকে। তবে সামুদ্রিক খাবার থেকে অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সতর্ক থাকা প্রয়োজন।


আয়রন- চুলের সঠিক বৃদ্ধির জন্য শুধু চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকলেই হবে না। খেয়াল রাখা প্রয়োজন স্ক্যাল্প অর্থাৎ মাথার তালুর দিকেও। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় রয়েছে পালংশাক, কালে- এই ধরনের সবুজ পাতাজাতীয় শাকসবজি, বাদাম, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, ডাল, বীজ, দানাশস্য, তোফু ইত্যাদি। আপনার মেনুতে এইসব খাবার যোগ করলে আপনার শরীরে আয়রনের ঘাটতি হবে না।


ভিটামিন সি- ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার চুল পড়ার সমস্যা কমায়, নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। চুলে ময়শ্চারাইজড ভাব বজায় রাখে এই ভিটামিন। এছাড়াও চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে প্রতিদিন আপনি বিভিন্ন সাইট্রাস ফ্রুট অর্থাৎ লেবুজাতীয় ফল খেতে পারেন।


বায়োটিন- বায়োটিন একপ্রকারের ওয়াটার সলিউয়েবল ভিটামিন বি যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, চুলে কন্ডিশনারের জোগান দেয়, ফলে চুল নরম-মোলায়েম-উজ্জ্বল থাকে। এছাড়াও এই বায়োটিন চুলের ডগা ফেটে যাওয়া, মাঝখান থেকে চুল ভেঙে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দূর করে। বায়োটিন সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে আপনি প্রতিদিনের ডায়েটে রাখতে পারেন ডিম, মাছ, মাংস, বাদাম এবং বিভিন্ন ধরনের বীজ।


প্রোটিন- প্রোটিন চুলের স্বাস্থ্যের বিভিন্ন ভাবে খেয়াল রাখে। কেরাটিনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় প্রোটিন জাতীয় খাবার। তার ফলে আমাদের চুল সবদিক থেকেই পুষ্টি পায়, কারণ এই কেরাটিন চুলের স্বাস্থ্যের সার্বিকভাবে খেয়াল রাখে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে পাতে রাখতে পারেন ডিম, বাদাম, মাছ, ইয়োগার্ট, অ্যাভোকাডো এবং মিষ্টি আলু।


ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড- চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। চুলের ঘনত্ব সঠিক ভাবে বজায় রাখতেও এই উপকরণ কাজে লাগে। বিভিন্ন ধরনের মাছ যেমন- স্যামন, বাদাম, ড্রাই ফ্রুটসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। তাই এইসব খাবার খেতে পারেন আপনি।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন- অল্পতেই জট পড়ে যায় চুলে? চিরুনি দিলেই ঝরছে চুল? সমস্যার সমাধানে রইল কিছু সহজ ঘরোয়া উপায়