কলকাতা: শীতকাল পড়লেই বাড়িতে বাড়িতে গাজরের হালুয়া (Gajar Ka Halwa) তৈরি হতে দেখা যায়। জিভে জল আনা এই ডেজার্ট খেতে পছন্দ করেন না, এমন মানুষ নেই বোধহয়। বাড়িতে তৈরি করা না হোক, দোকান থেকে তো অবশ্যই কিনে খান। কিন্তু গাজরের হালুয়া খাওয়া কি স্বাস্থ্যকর? কী হয় এটি খেলে?
গাজরের হালুয়া খেলে শরীরে কী প্রভাব পড়ে?
১. গাজরের হালুয়া ঠান্ডা, গরম দুরকমভাবেই পরিবেশন করা হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। শীতকালে ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য় করে এই সুস্বাদু খাবার। এর কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞদের মত, গাজরের হালুয়াতে ঘি ব্যবহার করা হয়। ঘি-তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং অ্যামিনো অ্য়াসিড। ঘিয়ের উপকারিতা অনেক। আয়ুর্বেদ মতে, ঘি স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে, চেহারায় বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও শরীরের নানা ব্যথা, যন্ত্রণা, বিশেষ করে গাঁটের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। তাই ঠান্ডার আবহাওয়ায় শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করে গাজরের হালুয়া।
২. বিশেষজ্ঞদের মতে, গাজর চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিামিন সি, ভিটামিন কে এবং ফাইবার। দৃষ্টিশক্তি প্রখর করতে গাজরের জুড়ি মেলা ভার। এক বাটি গাজরের হালুয়া খেলে চোখের স্বাস্থ্য উন্নত হয়। তার সঙ্গে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আরও পড়ুন - Orange Peels: কমলালেবুর খোসা ফেলে দিচ্ছেন? এই ৮ কাজে ব্যবহার করতে পারেন
৩. শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে গাজরের হালুয়া। এতে থাকা উপকারী উপাদান আমাদের শরীরকে অনেক রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। গাজরের হালুয়াতে থাকা ড্রাই ফ্রুটসের উপকারিতাও অনেক। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং প্রোটিন নানা প্রকার উপকার করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গাজরের হালুয়া খাওয়ার আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। কারণ, গাজর নিজে অত্যন্ত উপকারী উপাদান। তার সঙ্গে মেশানো হয় দুধ থেকে ড্রাই ফ্রুটস, ঘি ও আরও নানা উপাদান। এত পরিমাণ উপকারী উপাদানে ভরা গাজরের হালুয়া শীতকালে নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।