কলকাতা : হাই কোলেস্টেরল (High Cholesterol) একটি গুরুতর শারীরিক সমস্যা। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। এই পরিস্থিতিতে সময়ে চিকিৎসা করা খুবই জরুরি। অন্যথা, এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শরীরে দেখা দিতে শুরু করবে। উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরলকে কখনোই উপেক্ষা করা উচিত নয়, কারণ তা শরীরের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।


কোলেস্টেরল হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই বিপজ্জনক। হার্টকে সুস্থ রাখতে অতিরিক্ত চর্বি ও খারাপ কোলেস্টেরল সময়মতো ঠেকাতে হবে। হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতো মারাত্মক রোগের কারণে অনেক সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এর ফলে কোলেস্টেরল বাড়তে শুরু করে। কিন্তু কোলেস্টেরল কী এবং কেন তা বৃদ্ধি পায় ?


কোলেস্টেরল কী ?


কোলেস্টেরল লিভারের মাধ্যমে তৈরি হয়। যা অনেকটা ফ্যাটের মতো হয়। কোষের ঝিল্লি, পরিপাকতন্ত্র, ভিটামিন ডি এবং কিছু প্রয়োজনীয় হরমোন উৎপাদনে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি রক্তে দ্রবীভূত হয়। এর জন্য প্রয়োজন হয় লিপোপ্রোটিন কণা। যা কোলেস্টেরলের মাধ্যমে রক্তে পৌঁছায়। লিপোপ্রোটিন দুই ধরনের হয়। একটি ঘনত্বের লিপোপ্রোটিন যাকে খারাপ কোলেস্টেরল বলা হয়। তাই দ্বিতীয় ঘনত্বের লিপোপ্রোটিন (HDL) কে বলা হয় ভাল কোলেস্টেরল। খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ায় শরীরে নানা ধরনের রোগ বাড়তে থাকে। ভাল কোলেস্টেরল শরীরের জন্য উপকারী। খারাপ কোলেস্টেরলের কারণে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে।


শরীরে কোলেস্টেরল বাড়ার লক্ষণ-



  • অতিরিক্ত ঘাম শুরু হলে বুঝবেন খারাপ কোলেস্টেরল বেড়েছে। কারণ খারাপ কোলেস্টেরল শরীরের জন্য খারাপ।

  • পরিশ্রম ছাড়া পায়ে ব্যথা হলে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার কারণে হতে পারে। তাই এটাকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। এই ব্যথা দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

  • খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া বুকে ব্যথার কারণ হতে পারে।


প্রসঙ্গত, হার্টের রোগে সারা বিশ্বে যত মৃত্যু হয়, তার অধিকাংশই এলডিএল কোলেস্টেরলের কারণে হয়ে থাকে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ৪০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল কমানো গেলে হার্টের রোগে মৃত্যুর আশঙ্কা ২১ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। অন্যদিকে আরেক ধরনের কোলেস্টেরল এইচডিএল কোলেস্টেরলকে হার্টের জন্য় নিরাপদ বলে মনে করা হয়। তাই এই কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন অনেকে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এই বিষয়েও খুব সীমিত সংখ্যক গবেষণা হয়েছে। 


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।