Muscle Cramps: অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় আচমকা পেশীতে টান ধরছে, প্রবল যন্ত্রণা হচ্ছে। বিশেষ করে রাতের দিকে, ঘুমের মধ্যে পায়ের পেশীতে টান ধরতে পারে। নানা কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। কী কী কারণে আচমকা পেশীতে টান ধরতে পারে, ব্যথা হতে পারে, দেখে নেওয়া যাক।
- কম জল খাওয়া হলে পেশীতে টান ধরে পারে আচমকা। খুব ব্যথাও হতে পারে। তাই রোজ সঠিক পরিমাণে জল খান। সঠিক পরিমাণে জল খাওয়া না হলে আপনার শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যাবে। তার পরে পেশীতে টান ধরতে পারে।
- জিম কিংবা যোগাসন যাঁরা করেন, তাঁরা চোট-আঘাত পেলে পেশীতে টান ধরে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অতএব প্রশিক্ষকের পরামর্শ ছাড়া জিম কিংবা যোগাসন কোনওটাই করতে যাবেন না। নিজের শারীরিক ক্ষমতার বাইরে গিয়েও যোগাসন, জিম মূলত শরীরচর্চা করাই উচিত নয়।
- পেশীতে টান ধরলে বিশেষ করে পায়ের পেশীতে, সঙ্গে সঙ্গে চেষ্টা করুন একটু হাঁটাচলা করার। এক জায়গায় বসে থাকলে পেশী আরও শক্ত হয়ে যাবে এবং ব্যথা বাড়বে। তাই কষ্ট হলেও হাঁটার চেষ্টা করুন, তাহলেই কমবে যন্ত্রণা।
- আমাদের শরীরে ইলেকট্রলাইটসের ভারসাম্য নষ্ট হলেও পেশীতে আচমকা টান ধরতে পারে। যাঁদের ঘনঘন পেশীতে টান ধরে, তাঁরা মাঝে মাঝে নুন-চিনির জল খাওয়া অভ্যাস করুন। তাহলে শরীরে ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্য বজায় থাকবে।
- পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম- এই তিন উপকরণ আমাদের শরীরে সঠিক পরিমাণে না থাকলে মাসল ক্র্যাম্প হয়। অতএব এই দিকে নজর রাখুন। খুব বেশি পরিমাণে পেশীতে টান ধরলে, পরীক্ষা করিয়ে দেখে নিন, শরীরে এই তিন উপকরণ সঠিক মাত্রায় রয়েছে কিনা।
- সঠিক পরিমাণে জল না খেলে শরীরে ডিহাইড্রেশন হবে। আর তার জেরে শরীরে সঠিক মাত্রায় রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সম্ভব হবে না। সারা শরীরে সঠিক ভাবে ব্লাড সার্কুলেশন সম্পন্ন না হলেও পেশীতে টান ধরতে পারে। তীব্র ব্যথা হতে পারে। অতএব সঠিক পরিমাণে জল খাওয়া খুবই জরুরি। নাহলে পেশীতে টান ধরবেই। কষ্ট পাবেন আপনি। যদি দেখেন বারবার পেশীতে টান ধরছে, ব্যথা বাড়ছে, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিন।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।