কলকাতা : পেঁপে এবং বেদানা (Papaya and Pomegranate) উভয় ফলই স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। পেঁপেতে ফাইবার, ভিটামিন সি এবং অনেক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। অন্যদিকে, বেদানায় ভিটামিন সি-সহ অনেক কিছু রয়েছে যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। প্রশ্ন হল, দুটোই একসঙ্গে খাওয়া যাবে কি না ? অনেকে আছেন যাঁরা একসঙ্গে খান।


পেঁপে ও বেদানা একসঙ্গে খেলে শরীরে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া অনেক ধরনের রোগ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। এই দু'টি ফলই অনেক ধরনের রোগ থেকে রক্ষা করে এবং লোহিত রক্তকণিকা বাড়ায়। যে কারণে শরীরে রক্তের অভাব হয় না। রক্তশূন্যতার মতো রোগ প্রতিরোধে ফল খুবই উপকারী। এছাড়া এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। সেই সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য ও স্থূলতার সমস্যাও দূর করে। সবচেয়ে ভাল ব্যাপার হল, এই দু'টি ফল একসঙ্গে খেলে শরীরে মাল্টিভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হয়।


কেন এই ফলের সমন্বয় মাল্টিভিটামিন?


পেঁপে এবং বেদানা উভয় ফলই শরীরে মাল্টিভিটামিনের মতো কাজ করে। পেঁপেতে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি। বেদানা ভিটামিন সি, ই, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন এবং নিয়াসিন সমৃদ্ধ। পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং প্রোটিন রয়েছে। বেদানায় রয়েছে এলাজিটানিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি খেলে শরীরের ফোলাভাব কমে যায়। Ellagitannin অক্সিডেটিভ মস্তিষ্কের কোষ বাড়িয়ে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে অ্যালঝাইমার ও পারকিনসন রোগ থেকেও রক্ষা করে।


এক বাটি পেঁপে বেদানার সঙ্গে মিশিয়ে খান, এতে শরীরে ফাইবারের অভাব পূরণ হবে। স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এভাবে খেলে শরীরের ছোটখাট রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।


এছাড়া অনিয়মিত জীবনযাপন, বেহিসেবি খাওয়া-দাওয়া, স্ট্রেস- এসব কারণে লাগাম থাকে না কোলেস্টেরলের মাত্রায়। এদিকে রক্তে কোলেস্টেরল লাগামছাড়া ভাবে বাড়তে থাকলেও বিপদ। কারণ অতিরিক্ত কোলেস্টেরল হৃদরোগের বিপদ ডেকে আনতে পারে। আরও একাধিক শারীরিক সমস্য়া হতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে গেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখা প্রয়োজন। সেই কারণে খেয়াল রাখতে হয় খাওয়া-দাওয়ায়। তার সঙ্গেই ভরসা রাখতে হয় বেশ কিছু টোটকার উপরেও, যেমন কাঁচা পেপে। 


এদিকে স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী বেদানা। বিশেষজ্ঞরা জানান, হৃদপিণ্ড সুস্থ রেখে হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এই ফল। স্বাস্থ্যের নানা উপকারের সঙ্গে সঙ্গে ত্বক এবং চুলের জন্যও দারুণ উপকারী। 


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।