Benefits of Beetroot: শীতের মরশুমে (Winter Season) বেশ পরিচিত এবং জনপ্রিয় সবজি হল বিট (Beetroot)। অনেকে আবার বিটকে ফলও বলে থাকেন। বিটের মধ্যে রয়েছে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপকরণ। স্যালাড কিংবা তরকারিতে হোক বা রস করে- বিট (Beetroot Juice) খাওয়ার প্রচুর উপকারিতা রয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একাধিক সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এই বিট। আজকাল তো বিট দিয়ে বিভিন্ন ধরনের বাহারি রেসিপিও তৈরি হয়। স্বাদে মিষ্টি এবং বেশ সুন্দর লালচে রঙ রয়েছে এই সবজির মধ্যে। শীতের মরশুমের সবজি হলেও আজকাল প্রায় সারা বছরই বাজারে বিটের দেখা পাওয়া যায়। কেন বিট বা বিটের রস খাবেন, আর তার ফলে কী কী উপকার আপনি পেতে পারেন, তারই একটি তালিকা নিয়ে আলোচনা করা হল নিম্নে। একঝলকে ভাল করে দেখে নিন বিটের বেশ কয়েকটি উপকারিতা।
রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে- আমাদের দেহে রক্ত চাপের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে কিংবা একধাক্কায় কমে গেলে, দু'ক্ষেত্রেই অসংখ্য সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বিটের মধ্যে থাকা নাইট্রিক অক্সাইড মানবশরীরের সর্বত্র ভালভাবে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এবং একই সঙ্গে কমায় বা নিয়ন্ত্রণে রাখে রক্ত চাপের মাত্রা। আর ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকলে হৃদযন্ত্র জনিত রোগ থেকে দূর থাকবেন আপনি। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এসব অহোয়ার ঝুঁকি কমবে।
লিভার ভাল রাখতে সাহায্য করে- বিটের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে একাধিক ভিটামিন যেম- ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, এই সমস্ত উপকরণ লিভার ডিটক্সিফাই করতে সহায়তা করে। অর্থাৎ লিভারের মধ্যে কোনও দূষিত বা ক্ষতিকারক পদার্থ জমতে দেয় না। শরীরে থেকে তা বের করে আনে।এছাড়াও বিটের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস। এই জাতীয় উপকরণ আমাদের শরীরে অক্সিডেটিভ ড্যামেজ হতে দেয় না।
অন্ত্রের সমস্যা দূর করে, বৃদ্ধি করে হজম ক্ষমতা- বিটের মধ্যে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড এবং প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই দুই উপকরণ অন্ত্রের একাধিক সমস্যা দূর করে। বৃদ্ধি করে হজমশক্তি। ফলে খাবার সহজে হজম হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য, প্রদাহজনিত সমস্যা যেমন- অ্যাসিডিটি, গ্যাস ইত্যাদি থেকে দূরে থাকবেন আপনি। এর পাশাপাশি যেহেতু বিটের মধ্যে থাকা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপকরণের সাহায্যে আমাদের সারা শরীরে সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, তাই স্নায়বিক ক্রিয়াকলাপও সঠিকভাবে বজায় থাকে।
আরও পড়ুন- দূষিত বায়ুর মধ্যে ঘণ্টাদুয়েক? ধাক্কা খেতে পারে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা, ইঙ্গিত গবেষণায়
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন