উত্তর ২৪ পরগনা: রেশন দুর্নীতিতে (Ration Scam) জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick Arrest)  নিয়ে সুর বদল পার্থ ভৌমিকের (Partha Bhowmick)! দল পাশে থাকবে না বলার পরে এবার চক্রান্তের তত্ত্ব ! 'লোকসভা ভোটে উত্তর ২৪ পরগনা তৃণমূলকে চাপে ফেরার চেষ্টা', দল পাশে থাকবে না বলার পরেও সুর বদলে দাবি করলেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। সঙ্গে আরও বললেন, 'ইডি, সিবিআইকে ব্যবহার করে তৃণমূলকে দুর্বল করতে চাইছে বিজেপি।'


কী বললেন জ্যোতিপ্রিয়?
'কেউ অপরাধী হলে, আদালতে শাস্তি হবে। পাশে থাকবে না দল', ২০২১-র পরে কিছু হয়নি, বালুর গ্রেফতারির পরেই বলেছিলেন সেচমন্ত্রী। এবার কি সুরবদল? এদিনের পর সেই সম্ভাবনা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এদিন পার্থ বলেন, 'লোকসভা ভোটে উত্তর ২৪ পরগনায় তৃণমূলকে চাপে ফেলতেই জ্যোতিপ্রিয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইডি, সিবিআইকে ব্যবহার করে তৃণমূলকে দুর্বল করতে চাইছে বিজেপি।' তাঁর মতে, 'গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সাধারণ মানুষ যে সমস্ত জায়গাগুলির উপর ভরসা রাখতেন, সেই সমস্ত কাঠামোগুলির উপর আস্থা হারাচ্ছেন।' এ প্রসঙ্গে শশী পাঁজার মন্তব্য টেনে পার্থকে বলতে শোনা যায়, '৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ইডি, সিবিআই, এনআইএ-র মতো সংস্থাগুলি বিরোধীদের উপর ব্যবহার করা হচ্ছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআই যতটা সক্রিয়, তার নিরিখে বিজেপি নামক রাজনৈতিক দলের যাঁরা জড়িত রয়েছেন তাঁদের নিয়ে বিন্দুমাত্র সক্রিয়তা নেই।' পার্থ ভৌমিকের দাবি, 'তদন্ত হলে সকলের বিরুদ্ধে হওয়া উচিত। শুধুমাত্র যাঁরা বিরোধী রাজনৈতিক দল করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক তদন্ত হবে। আর যাঁরা বলেছিলেন, না খাউঙ্গা না খানে দুঙ্গা, তাঁদের ক্ষেত্রে যাঁরা খাচ্ছেন, তাঁদেরই সম্মান দেওয়া হচ্ছে। শাসকদলে চলে গেলেই সম্মান পাচ্ছেন তাঁরা।' এর আগে অবশ্য অন্য সুর শোনা গিয়েছিল পার্থ ভৌমিকের গলায়।


কী করবেন কল্যাণ?
একা পার্থ নন, কয়েক দিন আগে এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ বলেন, 'কথায় কথায় মমতার নাম নিয়ে টানাটানি কেন ? মমতা-অভিষেক সব জানেন মানে কী?' জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের তীব্র সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, 'ওঁরা কী জানেন মানে ? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী জানবেন ? জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যদি দুর্নীতি হয়েছে বলে থাকে, আগে তাহলে দুর্নীতি নিয়ে ও পদক্ষেপ নেয়নি কেন ? এক নম্বর প্রশ্ন। দু-নম্বর প্রশ্ন, দুর্নীতি নিয়ে উনি কোনও চিঠি লিখেছিলেন কি না, যে এই দুর্নীতি হচ্ছে। বন্ধ করাতে কোনও পদক্ষেপ নিয়েছিলেন ?' ধৃত খাদ্যমন্ত্রী তার আগেই দাবি করেছিলেন,  মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সব জানেন। তার পরই এই প্রতিক্রিয়া ছিল কল্যাণের।


আরও পড়ুন:'অধিকারী পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে কেন তদন্ত হচ্ছে না?', প্রশ্ন শশী পাঁজার