Arthritis Pain: আর্থ্রারাইটিসের (Arthritis) সমস্যায় আজকাল ভোগেন অনেকেই। বিশেষ করে বয়স্কদের (Old Age) ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। মূলত শরীরে বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা ও অন্যান্য আরও অনেক সমস্যা লক্ষ্য করতে পারেন আপনি। সবচেয়ে বেশি আপনাকে কষ্ট দেবে তীব্র যন্ত্রণা। আর্থ্রারাইটিসের সমস্যা বাড়ছে সেটা বুঝতে পারলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। সাধারণ ভাবে আপনার যে আর্থ্রারাইটিস হয়েছে এটা বোধগম্য নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি কোনওরকম ব্যথা, যন্ত্রণাকেই অবহেলা করবেন না। সমস্যা দেখা দিলে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। বেশ কিছু ফল রয়েছে যা প্রতিদিনের মেনুতে রাখলে আর্থ্রারাইটিসের যন্ত্রণা থেকে আরাম পাবেন আপনি। নীচের তালিকায় এইসব ফল নিয়েই আলোচনা করা হল। মূলত প্রদাহজনিত সমস্যা অর্থাৎ ইনফ্লেমেশন থেকেই বাড়ে আর্থ্রারাইটিসের ব্যথা।
চেরি- চেরির মধ্যে রয়েছে অ্যান্থোসিয়ানিন নামের একটি উপকরণ। চেরির মধ্যে থাকা এই উপকরণ ইনফ্লেমেশনের সমস্যা কমায় এবং আর্থ্রারাইটিসের রোগীদের তীব্র যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়।
কমলালেবু- ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফল বিভিন্ন জয়েন্ট অর্থাৎ গাঁট বা হাড়ের জয়েন্ট অংশে গঠনের উন্নতি করে। এর পাশাপাশি আর্থ্রারাইটিসের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তাই রোজের মেনুতে কমলালেবু রাখতেই পারেন আর্থ্রারাইটিসের রোগীরা। রস করে খেতে পারেন ফল। আবার খেতে পারেন গোটা।
আপেল- আপেলের মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েডস। এই ফ্ল্যাভোনয়েডস অ্যাটি-ইনফ্লেমেটরি উপকরণে পরিপূর্ণ। আপেলের মধ্যে থাকা এই গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ আর্থ্রারাইটিসের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। বলা ভাল আর্থ্রারাইটিসের লক্ষণ বা উপসর্গ থেকেও আপনাকে দূরে রাখে। প্রতিদিন একটা আপেল খেতেই পারেন আর্থ্রারাইটিসের রোগীরা।
ব্লুবেরি- অ্যান্টিঅক্সিডেটে ভরপুর এই ফল মূলত ইনফ্লেমেশনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি জয়েন্ট পেন এবং সোয়েলিংয়ের সমস্যা দূর করে আর্থ্রারাইটিসের রোগীদের কিছুটা আরাম দিতে পারে এই ব্লুবেরির মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপকরণ। যদি ফ্রুট স্যালাড খাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে তার মধ্যে ব্লুবেরি রাখতে পারেন।
আনারস- আনারসের মধ্যে রয়েছে ব্রোমেলাইন নামের একটি উপকরণ। মানবদেহে ইনফ্লেমেটরি উপকরণ তৈরি হতে দেয় না এই ব্রোমেলাইন। আর তার জেরে আর্থ্রারাইটিসের লক্ষণগুলি কমতে থাকে ধীরে ধীরে। তাই আনারস খাওয়াও আর্থ্রারাইটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন- মাঝে মাঝেই মানসিক অবসাদে ভুগছেন? মন ভাল রাখতে পাতে পড়ুক এই খাবারগুলি