Teeth Sensitivity: দাঁতের যত্ন না নিলে অসুবিধায় পড়তেই হবে। আর দাঁতে ব্যথা ঠিক কতটা কষ্টকর তা যাঁর হয়েছে তিনিই কেবল জানেন। কিন্তু দাঁতের সমস্যা মানেই তো শুধু যন্ত্রণা নয়। আরও একাধিক সমস্যা দেখা দেয় দাঁতে। যেমন- দাঁতে শিরশিরানি অনুভূত হওয়া। মূলত দাঁতের এনামেল ক্ষয়ে গেলে এই সমস্যা তীব্র ভাবে দেখা যায়। শুধুমাত্র ঠান্ডা খাবার খেলেই যে দাঁতে শিরশিরানি হবে তা কিন্তু নয়। গরম খাবারেও হতে পারে। আর দাঁতের এনামেল যদি বেশি ক্ষয়ে যায় তাহলে যা কিছু খাবেন, তখনই দাঁর শিরশির করবে। এই সমস্যা একেবারেই অবহেলা করা উচিৎ নয়। 

তবে বেশ কিছু ঘরোয়া টোটকার মাধ্যমেও দাঁতের শিরশিরানির সমস্যা কমানো সম্ভব। সেগুলি কী কী, দেখে নিন একনজরে। 

  • হাল্কা গরম জল করে তাতে সামান্য নুন দিয়ে মুখ কুলকুচি করার অভ্যাস রাখুন। দিনে অন্তত তিন থেকে চারবার। তবে খাবার খাওয়ার পরেই কবেন না। তাহলে বমি হয়ে যেতে পারে কিংবা গা-গোলাতে পারে। 
  • দাঁতে ব্যবহার করতে পারেন নারকেল। দিনে দু'বার নারকেল তেল দিয়ে দাঁতে আলতো হাতে মালিশ করে নিন। তারপর ব্রাশ করে ভালভাবে মুখে ধুয়ে নিতে হবে। 
  • দাঁতের জন্য লবঙ্গ তেলও খুবই ভাল। তাই যাঁদের দাঁতে ব্যথা, শিরশিরানি এইসব সমস্যা রয়েছে তাঁরা লবঙ্গ তেল দিয়ে মালিশ করতে পারেন যে অংশে সমস্যা হচ্ছে সেখানে। উপকার পাবেন। তবে নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে। 
  • পেয়ারা পাতা চিবালে দাঁতের অনেক সমস্যা দূর হয়। যদি দাঁতে সহ্য করার মতো ব্যথা থাকে তাহলে পেনকিলার খাওয়ার আগে একবার পেয়ারা পাতা চিবিয়ে দেখতে পারেন। ব্যথা কমবে। দাঁতের শিরশিরানিও কমে পেয়ারা পাতা চিবিয়ে নিলে। আর দাঁতে ব্যথা কিংবা অন্যান্য যেকোনও সমস্যাতেই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া একেবারেই ওষুধ খাবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। 
  • হাল্কা গরম জলে অল্প মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এই পানীয় দাঁত এবং মাড়ির খেয়াল রাখে। ব্যথা, শিরশিরানি কমায়। মুখের ভিতর কোনও ঘা হলে এই পানীয় খেলে সহজে কমে যায়। 
  • যখন যা খাবেন (জল ছাড়া) তারপর অবশ্যই মুখ ধুয়ে নিন কুলকুচি করে। চা খেলেও মুখে ধুয়ে নেওয়া উচিৎ। দিনে অন্তত দু'বার মাউথ ফ্রেশনার ব্যবহার করুন। এ ব্যাপারে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিন। এছাড়াও দাঁতের এনামেল যাতে ঠিকভাবে বজায় থাকে, তাই বিশেষ টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন, তবে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে তারপর। 

আরও পড়ুন- রোজ অল্প একটু এলাচ কেন খাবেন? এই মশলা শরীরের কোন কোন অঙ্গের খেয়াল রাখে? 

ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।