Indian Spices: ভারতীয়রা রান্নায় যেসব মশলা (Spices) ব্যবহার করেন তার অনেক গুণ রয়েছে। সাধারণ বাড়িতে রান্নায় যেসব মশলা ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে অনেকগুলির সাহায্যেই ওজন কমে (Weight Loss)। অর্থাৎ দেহের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে এইসব মশলা সাহায্য করে। এই তালিকায় কোন কোন মশলা রয়েছে সেগুলো দেখে নেওয়া যাক।


মেথি- মেথি ভেজানো জল খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে নানা কারণে ভাল। মূলত মেথির মধ্যে থাকা ফাইবার আপনার সারাক্ষণ খিদে খিদে ভাব কমায়। তার ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা থাকে না আপনার। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। 


হলুদ- যেকোনও রান্নার ক্ষেত্রেই হলুদ একটি সাধারণ উপকরণ। এই হলুদের মধ্যেও রয়েছে অনেক গুণ। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপকরণ রয়েছে হলুদের মধ্যে। তার ফলে যেকোনও সংক্রমণ থেকে আপনাকে রক্ষা করে হলুদ। ক্ষতস্থান সহজে শুকনোর ক্ষেত্রেও সাহায্য করে। হলুদের মধ্যে থাকা উপকরণ ফ্যাট বার্নিং হতে সাহায্য করে। এছাড়াও হলুদে থাকে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপকরণ যা প্রদাহজনিত সমস্যা কমায়। বদহজমের সমস্যা দূর করে। অ্যান্টি-ভাইরাল উপকরণও থাকে হলুদের মধ্যে। এই সমস্ত উপকরণ আপনার দেহের মেটাবলিজম রেট বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।


আদা- আদার সাহায্যেও কমানো যায় ওজন। আদার রস এবং পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন আপনি। ওজন কমার পাশাপাশি আরও অনেক উপকারই পাওয়া যায়। শরীরের ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করে আদার মধ্যে থাকা উপকরণ। ফ্যাট অ্যাবসরপশন করার ক্ষমতাও কমায়। এর পাশাপাশি মেটাবলিজম রেট বৃদ্ধি করে আদা। তার সঙ্গে আপনার পেট ভরিয়ে রাখে, তাই ঘনঘন খিদে পায় না।


দারচিনি- দারচিনি ভারতের একটি জনপ্রিয় মশলা। স্বাদে, গন্ধে এই মশলা অতুলনীয়। এই দারচিনির সাহায্যেও কমানো যায় ওজন। দারচিনির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এর ফলে মেটাবলিজম রেট বৃদ্ধি পায় এবং ফ্যাট বার্নিং প্রসেস দ্রুত হয়। এই মশলায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ওজন কমায়, সারাক্ষণের খিদে খিদে ভাব কমিয়ে দেয়, ফ্রি র‍্যাডিকাল ড্যামেজ রোধ করে।


জিরে- এই মশলা বিভিন্ন ভাবে আমাদের দেশের রান্নায় ব্যবহৃত হয়। গোটা জিরে, জিরে গুঁড়ো সবরকমের ব্যবহারই রয়েছে। মেথির মতো জিরে ভেজানো জলও অনেকে খেয়ে থাকেন। জিরের সাহায্যে মেটাবলিজম রেট বৃদ্ধি পায়, বদহজমের সমস্যা দূর হয়। এছাড়া ওজন কমাতেও সাহায্য করে জিরে। 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন- প্রতারণা থেকে বাঁচতে নজর দিন পাসওয়ার্ড সেটিংসে, কীভাবে তৈরি করবেন 'স্ট্রং পাসওয়ার্ড'?