কলকাতা : শরীর যাতে সঠিকভাবে কাজ করে তার জন্য প্রয়োজন বিশেষ রসদ। শারীরিক শক্তির প্রধান উৎস হল- খাদ্য। তাই সবাইকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। খাবার যত বেশি পুষ্টিকর হবে, শরীর তত বেশি এনার্জেটিক থাকবে। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন, আমরা যদি সারাদিন অভুক্ত থাকি বা সারাদিন কিছু না খেয়ে থাকি, তাহলে শরীর কোথা থেকে শক্তি পাবে ?
দীর্ঘক্ষণ কি না খেয়ে থাকা যায় ?
ডায়েট বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, অনেক ধরনের ডায়েট প্ল্যান রয়েছে, যার মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে কোনও খাবার খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। বিরতিহীন উপবাসে, দীর্ঘ সময় উপবাস থাকতে হয়। তবে, এটি সবার জন্য উপকারী নাও হতে পারে। এদিকে খাবার না খেলেও শরীরে শক্তির প্রয়োজন হয়। এ জন্য অনেকে ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেন। যার অনেক অসুবিধা হতে পারে।
খাবার না খেলে কী হতে পারে ?
খাবার খাওয়ার পর পাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। পাকস্থলীতে থাকা খাবার হজম করতে কয়েক ঘণ্টা কাজ করে শরীর। এ থেকে তৈরি গ্লুকোজকে শক্তি হিসেবে ব্যবহার হয়ে শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। কিন্তু যখন প্রায় 8 ঘণ্টা কিছুই খাওয়া হয় না, তখন শরীর শক্তির জন্য সঞ্চিত চর্বি ব্যবহার করতে শুরু করে এবং এই প্রক্রিয়াটি পরবর্তী সময়ে খাওয়া পর্যন্ত চলতে থাকে।
খাবার খাওয়ার পর যখন শক্তি পাওয়া যায়, তখন এতে পুষ্টি বিপাক হয়। শরীর যখন শক্তির পরিবর্তে চর্বি ব্যবহার করে, যাকে কিটোসিস বলে, দীর্ঘমেয়াদি ক্ষেত্রে তা ক্ষতি করে। চর্বি পোড়ানোর ফলে শরীর কিছুটা শক্তি পায়, কিন্তু প্রয়োজনীয় উপাদান পাওয়া যায় না। যে কারণে দুর্বলতা, ক্লান্তি, মাথা ঘোরা ইত্যাদি সমস্যা শুরু হয়। সপ্তাহে দুই বা তার বেশি বার ক্ষুধার্ত থাকলে হার্টবিট খারাপ হয়ে যায় এবং হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
এই ধরনের মানুষদের সাবধান থাকতে হবে-
- টাইপ- ১ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের রোগীরা
- গর্ভবতী বা স্তনপান করানো মহিলারা
- ১৮-বছরের কম বয়সি মানুষ
- সাম্প্রতিককালে যাদের সার্জারি হয়েছে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন