Concentration in Kids: বাচ্চাদের মধ্যে মনঃসংযোগের অভাব দেখা যায় অনেক সময়েই। মনঃসংযোগের অভাব হলে বাচ্চাদের পড়াশোনায় মন বসে না। ভুলে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায় তাদের মধ্যে। ধীর, স্থির হওয়ার প্রবণতা দেখা যায় না মনঃসংযোগের অভাব থাকা বাচ্চাদের মধ্যে। এক জায়গায় তারা স্থির হয়ে বসে না। শুধু পড়াশোনা নয়, যেকোনও ছোট কাজেও মনঃসংযোগের অভাব হলে একাগ্রতা আসে না। বাচ্চাদের নিয়মিত কিছু খাবার খাওয়াতে পারলে তাদের মনঃসংযোগ বৃদ্ধি পাবে। কোন কোন খাবার খেলে বাচ্চাদের মধ্যে মনঃসংযোগ বাড়বে, জেনে নিন। 

  • রোজ সকালে আপনার ছোট্ট সন্তানকে একটা আখরোট জলে ভিজিয়ে খাওয়ান। এই বাদাম রোজ খেলে মস্তিষ্ক দারুণ প্রখর হবে। আখরোট হজম করা কষ্টকর। তাই ছোট বাচ্চাদের দিনে একটার বেশি আখরোট দেওয়ার দরকার নেই। 
  • প্রতিদিন দু-চারটে যেকোনও জাম জাতীয় ফল খাওয়ান সন্তানকে। ভিটামিন সি যুক্ত এই ফল খেলে মস্তিষ্ক সজাগ ও প্রখর হবে। সক্রিয় থাকবে। এই তালিকায় ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, র‍্যাসপবেরি রাখতে পারেন আপনি। 
  • বাচ্চাদের রোজ একটা ডিম খাওয়াতেই পারেন। তবে সেদ্ধ ডিম খাওয়াতে হবে। ডিমে রয়েছে প্রোটিন যা স্মৃতিশক্তি ভাল করে। ডিমের পোচ কিংবা অমলেটের থেকে ডিম সেদ্ধ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। 
  • দিনে একবার অন্তত বাড়ির ছোট সদস্যটিকে ওটস খেতে দিন। ফাইবার থাকায় ওটস খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকবে। এনার্জিও পাবেন দিনভর। ব্রেকফাস্টেই অল্প ওটস খাওয়াতে পারলে ভাল। এর সঙ্গে মিশিয়ে দিতে পারেন বিভিন্ন ফল, ড্রাই ফ্রুটস। কিংবা সবজি মিশিয়েও তৈরি করতে পারেন ওটস। 
  • পালংশাক সব বয়সীদেরই খাওয়া উচিৎ। বাচ্চাদের জন্য বিশেষ ভাবে ভাল এই শাল। আয়রন ও ভিটামিন কে যুক্ত এই শাক বাচ্চাদের মনযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। পালংশাক রান্নার আগে ভালভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। আর ভালভাবে সেদ্ধ করে রান্না করতে হবে যাতে কাঁচা না থাকে। 
  • দিনে একবার হাল্কা গরম দুধে সামান্য কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে বাচ্চাকে খাওয়ান। গরম ভাতের সঙ্গেও দিতে পারেন কাঁচা হলুদ বাটা। মস্তিষ্ক সজাগ ও সক্রিয় রাখে হলুদ মেশানো দুধ। কাঁচা হলুদ খেতে পারলে আরও অনেক উপকার পাবেন। 
  • আমন্ড খেলে মস্তিষ্ক সক্রিয়, সজাগ, প্রখর থাকে একথা সকলেই জানেন। আমন্ড মনঃসংযোগ বাড়াতেও সাহায্য করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে। 

আরও পড়ুন- ধীরে ধীরে কমছে কিডনির কার্যক্ষমতা, কোন কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন? 

ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।