Fruit For Weight Loss: শীত (Winter Season) মানেই খেয়ে সুখ। বাঙালি বাড়িতে এই কথাটা শোনা যাবেই। শীতের মরশুমে বিয়েবাড়ির নিমন্ত্রণও থাকে প্রচুর। এছাড়াও শীতে মানেই তো পিঠে, পুলি, পায়েস। সঙ্গে কড়াইশুঁটির কচুরি, ছোট আলুর দম, আরও কত কী থাকে মেনুতে। কিন্তু জমিয়ে পেটপুজো করলেই তো খালি হবে না, শরীর-স্বাস্থ্যের দিকেও খেয়াল রাখা জরুরি। ওজন বাড়তে দিলে (Weight Loss Tips) চলবে না। মেদ একবার শরীরে জমতে শুরু করলে, থামানো বেশ মুশকিল। অতএব শীতের দিনে কিন্তু আলস্য কাটিয়ে শরীরচর্চা (Work Out) করতে হবে। আর সমস্ত ধরনের মুখরোচক খাবারের সঙ্গে মাঝে মাঝে পাতে রাখতে হবে মরশুমের কিছু ফল (Winter Seasonal Fruits)। শীতের মরশুমে এইসব ফল খেলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। 


এবার তাহলে দেখে নেওয়া যাক শীতের দিনে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোন কোন ফল খাবেন 


বিভিন্ন ধরনের জাম ফল 


স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি র‍্যাসপবেরি- যেকোনও ধরনের জাম খেতে পারেন শীতের মরশুমে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস সমৃদ্ধ জাম ফল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল। এছাড়াও জাম ফলের মধ্যে থাকে ভিটামিন এবং ফাইবার। ফাইবার থাকার কারণে জাম ফল খেলে অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকবে। 


ন্যাশপাতি 


শীতের মরশুমে মন ভরে ন্যাশপাতি খেতে পারেন আপনি। এই ফলের পুষ্টিগুণ অনেক। শরীর-স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে ন্যাশপাতির মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপকরণ। এই ফলেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তাই ন্যাশপাতি খেলেও দীর্ঘক্ষণ পেট ভরে থাকবে আপনার। সহজে খিদে পাবে না। পেকটিন নামের একটি উপকরণ রয়েছে ন্যাশপাতির মধ্যে। ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে, বদহজমের সমস্যা কমাতে এবং খাইখাই ভাব কমাতে সাহায্য করে এই পেকটিন। 


গ্রেপফ্রুট 


কম ক্যালোরি যুক্ত এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জলীয় উপকরণ। শীতের দিনে গ্রেপফ্রুট খেলে শরীর হাইড্রেটেড থাকবে। অর্থাৎ জলের ঘাটতি হবে না। এর পাশাপাশি খাবার ভালভাবে হজম করাতে সাহায্য করবে গ্রেপফ্রুট। 


আতা 


ভিটামিন, মিনারেলস এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস সম্পন্ন আতা ফল শীতের দিনে খেলে সার্বিক ভাবে সুস্থ থাকবেন আপনি। 


কমলালেবু 


শীতের মরশুমে রোজ একটা করে কমলালেবু খান। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফল আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত করে। এছাড়াও মেটাবলিজম রেট বাড়াতে সাহায্য করে এই ফল। তার ফলে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে। 


আরও পড়ুন- পাতিলেবুর রস এবং বিটনুন, অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে শরীরের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর? কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে? 


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।