কলকাতা: একবার যদি করোনা হয় তাহলেই আগামী ৯ মাস নিশ্চিন্ত। সম্প্রতি যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে সেখানে এমনটাই দাবি করছেন গবেষকরা। গবেষণা অনুযায়ী, সার্স কোভ-২ ভাইরাস একবার হানা দিলে করোনা মুক্ত হওয়ার পর ৯ মাস দেহে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে তৈরি হওয়া করোনার অ্যান্টিবডিরা যথেষ্ট পরিমাণে থেকে যাচ্ছে। 


এই গবেষণা থেকেই বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন একবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে কয়েক মাস করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কম থাকবে। ইতালির ইউনিভার্সিটি অফ পাদুয়া এবং ব্রিটেনের ইম্পেরিয়াল কলেজের বিজ্ঞানীরা এই গবেষণা করেন। ইতালিতে প্রায় ৩ হাজার কোভিড আক্রান্তদের নিয়ে সমীক্ষা করা হয়। ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারি-মার্চে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এমন রোগীদের যখন নভেম্বরে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা হয় তখন এই ছবিটি দেখতে পান গবেষকরা। 


অ্যান্টিবডিরা মানবদেহের সেই সুরক্ষা কর্মী, যারা দেহকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিয়ে থাকে ভাইরাস কিংবা ব্যাক্টেরিয়া আক্রমণ থেকে। গবেষণায় আরও একটি বিষয় নজর কেড়েছে, তা হল, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৯৮ শতাংশের দেহে কিন্তু এই ফলাফল দেখা গিয়েছে। দেখা গিয়েছে করোনা বিরোধী অ্যান্টিবডির উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। এক্ষেত্রে যাদের কোভিড হয়েছে মারাত্মক উপসর্গ নিয়ে কিংবা উপসর্গবিহীন কোভিড রোগী সকলের দেহেই অ্যান্টিবডি তৈরির হার একই।


এই গবেষণাটি 'নেচার কমিউনিকেশনে' প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকরা এও দেখেছেন যে একজন সদস্য থেকে কত দ্রুত বাড়ির বাকি সদস্যরা সংক্রমিত হচ্ছে। চার জনের মধ্যে এক জনের ক্ষেত্রে সংক্রমণ হার অনেকটাই বেশি দেখা গিয়েছে রিপোর্টে। কিন্তু ব্যতিক্রম ঘটনাও কিন্তু রয়েছে। 


ভ্যাকসিন নিয়ে কোভিড আক্রান্ত কিংবা দু'বার করোনা সংক্রমিত হয়েছেন অনেকেই। সেক্ষেত্রে অ্যান্টিবডির এই উপস্থিতি নিয়ে দ্বিমত থাকছে। এই গবেষণার অন্যতম লেখিকা ইম্পেরিয়াল কলেজের ইলারিয়া ডোরিগাটি বলেন, "করোনা হয়েছে এমন সব রোগীর দেহেই অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে একই হারে৷ তাই রোগের প্রাবল্যের উপর তা নির্ভর করছে না এটি স্পষ্ট। পুনঃসংক্রমণের ক্ষেত্রে প্রথমবার  উপসর্গহীন এমন দেহেই বেশি সংক্রমণ হয়েছে।"