একটা ভাইরাল ভিডিও। তারপর থেকেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে এশিয়া। ২০২৯ এ তো এই চিন থেকেই ধীরে ধীরে গোটা বিশ্বকে গ্রাস করেছিল করোনাভাইরাস। বিভিন্ন সূত্রের খবর, চিনে শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্রমেই ভর্তি হয়ে যাচ্ছে হাসপাতালের বেড। একাধিক ভাইরাস একত্রে হানা দিয়েছে চিনে। বিশেষ করে থাবা বিস্তার করেছে এইচএমপিভি । স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস (China HMPV Outbreak )। এই ভাইরাস শ্বাসযন্ত্রকে ভয়াবহভাবে ঘায়েল করে।
ভ্যাকসিন আছে?
আরও বড় ভয়ের কথা হল এই ভাইরাসের কোনও ভ্যাকসিন নেই এখনও পর্যন্ত। ২০ বছর আগে এই ভাইরাস একবার দাপট দেখিয়েছিল বলে দাবি। কিন্তু এর কোনও টিকা নেই। তাই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে সতর্কতা অবলম্বন এবং জনস্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। করোনাকালের মতোই নিয়মিত হাত ধোয়া এবং মাস্ক পরার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে বলে খবর।
সূত্রের খবর, ভাইরাসটি দেশের উত্তরাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে । চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তরফেও সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। উত্তর চিনে হাসপাতালে বেড মেলা দায় ! সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশু - কিশোররা। তবে এইচএমপিভি সব বয়সের মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে। শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। Ej আর তাই সতর্ক পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিও।
চিনে জরুরি পরিস্থিতি ?
কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল জানিয়েছে, চিনের কয়েকটি এলাকায় জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও চিন বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) কেউই জরুরি অবস্থার কথা ঘোষণা করেনি। যদিও চিনের খবর ভাইরাল হতেই জাপানের স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভাগ, এই সমস্যাটিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য শুরু থেকেই সতর্ক হয়েছে। এইচএমপিভি কিনা জানা না গেলেও, শোনা যাচ্ছে, জাপানে এক ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস হাজার হাজার মানুষকে ঘায়েল করেছে। শনিবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। জাপান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের মতে , সারা দেশে ৫ হাজারটি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে হত ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক সপ্তাহে ৯৪,২৫৯ জন জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। জাপানে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ছাড়িয়েছে।
ভাইরাস আক্রমণ মৃত্যু?
শিশু, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল যাদের, তাদেরই আগে আক্রমণ করে এইচএমপিভি। ভাইরাল এক পোস্টে , চিনে মৃত্যু মিছিলের কথা দাবি করা হলেও , স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এইচএমপিভি আক্রান্ত হলে সাধারণত সর্দি-কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ হওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়। এছাড়া শ্বাসকষ্ট হতে পারে। গুরুতর ক্ষেত্রে ব্রঙ্কাইটিস এবং নিউমোনিয়া হতে পারে। কো-মর্বিডিটি বেশি থাকলে HMPV সংক্রমণ মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন : ফিরছে আতঙ্কের দিন? চিনে ভাইরাস-দাপটে ঘায়েল ফুসফুস, 'ফের মৃত্যুমিছিল', দাবি ভাইরাল ভিডিওয়