কলকাতা: যতদিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে ক্যানসারের (cancer)  দাপট। বিভিন্ন ক্যানসারের প্রাদুর্ভাবের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। তার ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করছে চিকিৎসকরা। ইদানিং যে যে ক্যানসারের সমস্যা দেখা যাচ্ছে, সেগুলির মধ্যেই অন্যতম হল কোলোরেক্টাল ক্যানসার (Colorectal Cancer)। সাবালকদের মধ্যে যে কোনও বয়সেই এই ক্যানসার হতে দেখা যায়। 


কোথায় হয়?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কোলন (colon) বা রেক্টাম (rectum)-এর ভিতরে কোথাও কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটলে তা ক্যানসারের রূপান্তরিত হয়ে থাকে।


সচেতনতা বৃদ্ধি:
যে কোনও ক্যানসারের ক্ষেত্রেই আগে থেকে সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোলোরেক্টাল ক্যানসারের ক্ষেত্রেও তাই। মার্চ (March) মাসটি পালিত হয় কোলোরেক্টাল ক্যানসার সতর্কতা মাস হিসেবে। আগে থেকে নজর রাখা, কোনওরকম অসুবিধে হলেই সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করার সচেতনতা প্রচার করা হয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গুরুতর সমস্যা তখনই হয় যখন ক্যানসার (Cancer) লাস্ট স্টেজের দিকে পৌঁছয়। আগে থেকে ধরা পড়লে অনেক ক্ষেত্রেই চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ জীবনে ফিরে আসা সম্ভব। আগে থেকে ক্যানসার ধরা পড়ার জন্যই প্রয়োজন সচেতন থাকা। ৪০ বছরে পা রাখলেই কোলোরেক্ট্যাল ক্যানসার নিয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। 


সাধারণ উপসর্গ কী কী?
প্রতিদিনের জীবনে বেশ কিছু সমস্যা দেখলেই সতর্ক হওয়া জরুরি। ক্লান্তি (fatigue), দুর্বলতা (weakness), কোষ্ঠকাঠিন্য (constipation), তলপেটে অস্বাভাবিক ব্যথা (abdominal pains) বা পেট ফুলে থাকার সমস্যা থাকলে সতর্ক হতে হবে। এছাড়াও, মলত্যাগের স্থান থেকে রক্তপাত (rectal bleeding) হলেও সতর্কতা নিতে হবে। এই সমস্যা অন্য কোনও কারণেও হতে পারে। তবুও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।


কী কারণে বাড়ে ঝুঁকি?
অস্বাস্থ্যকর খাবার: প্রায়শই ফ্যাটজাতীয় খাবার খেলে ঝুঁকি বেশি থাকে। ডায়েটে ফাইবারের পরিমাণ কম থাকলেও ঝুঁকি বাড়তে পারে। অত্যধিক প্রক্রিয়াজাত মাংস খেলে এই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।


শরীরচর্চার অভাব: প্রতিদিন অল্পবিস্তর শরীরচর্চার অভ্যাস থাকলে অধিকাংশ শারীরিক সমস্যা এড়ানো যায়। 


ধূমপান ও মদ্যপান: ধূমপান (Smoking) হার্টের সমস্যা ও ক্যানসারের ঝুঁকি এমনিতেই বৃদ্ধি করে। কোলোরেক্টাল ক্যানসারের জন্য দায়ী ধূমপান। অতিরিক্ত মদ্যপান (Drinking) করলে দীর্ঘস্থায়ী ভাবে খারাপ প্রভাব পড়ে কোলোনের উপর।     


পারিবারিক রোগের ইতিহাস: বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন। পরিবারের কারও আগে এমন রোগ হয়ে থাকলে। বংশগত কারণে ঝুঁকি থেকে যায়। ফলে তাঁদের আরও একটু বেশি সচেতন থাকা প্রয়োজন।  


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।  


আরও পড়ুন: রোজ ঠান্ডা জল খান? সতর্ক থাকুন