কলকাতা: সুস্বাস্থ্যের জন্য সবরকমের পোষক পদার্থ শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিন থেকে ভিটামিন (vitamin), কার্বোহাইড্রেট থেকে ফ্যাট, প্রয়োজন সবই। সাধারণত প্রোটিনের উৎস বলতে আমরা সবাই প্রাণীজ প্রোটিনই ধরে নিই। বিভিন্ন মাছ, ডিম ও মাংস অবশ্যই প্রোটিনের উৎস। কিন্তু আরও একাধিক উৎস রয়েছে যেখানে রয়েছে ভরপুর প্রোটিন। মূলত যাঁরা নিরামিশাষী, তাঁদের জন্য পুষ্টির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই খাদ্য। এই খাবারগুলি পাতে থাকলে মাছ-মাংস না খেলেও প্রয়োজনীয় প্রোটিন (protein) পাবে শরীর। দেখে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী।
ডাল:
যেকোনও ধরনের ডাল (lentil) থেকেই প্রচুর প্রোটিন পাওয়া যায়। প্রতিদিন পাতে রাখতে হবে ডাল। মুগ বা মুসুর ছাড়াও অড়হর বা ছোলার ডাল থেকেও মিলবে প্রোটিন। এছাড়া রাজমা, কাবলিচানা, তরকার মতো খাবার থেকেও বহু পরিমাণে প্রোটিন পাবে শরীর। প্রতিদিন ১০০ গ্রাম ডাল খেলে ৭-৮ গ্রাম প্রোটিন মেলে বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য় বিশেষজ্ঞরা।
কুইনোয়া:
এই বিশেষ ধরনের খাবার থেকেও প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন পাওয়া যায়। প্রয়োজনীয় অ্য়ামাইনো অ্যাসিড থাকে এখানে।
পনির:
দুধ থেকে তৈরি হয় পনির (paneer)। যা ভরপুর প্রোটিনের উৎস। মাংস বা মাছের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু পদ তৈরি করা যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম পনিরে অন্তত ১৬ গ্রাম করে প্রোটিন থাকে। বয়স্ক ও শিশুদের প্রোটিনের উৎস হিসেবে পনির খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
দই:
অত্যন্ত সহজে মেলে। বছরভর পাওয়া যায় এই খাবার। শুধু প্রোটিনই নয়, ক্যালশিয়াম এবং আরও একাধিক পোষকপদার্থ থাকে দইয়ে (curd)।
কুমড়োর বীজ:
কুমড়োর বীজ (pumpkin seed) শুকিয়ে সেটা খাওয়া যায়। বিভিন্ন রান্নায়, তরকারিতেও ব্যবহার হয় এটি। প্রোটিন পেতে অত্যন্ত ভরসার যোগ্য অতি পরিচিত আনাজের এই বীজ।
সয়াবিন:
এছাড়াও রয়েছে সয়াবিন (soya)। মাংসের থেকেও বেশি পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে এখানে। মিড-ডে মিলেও প্রোটিনের জন্য়ও ব্যবহার করা হয়ে থাকে সয়াবিন। হাই-প্রোটিন ডায়েটে প্রোটিনের জোগান মেটাতে ব্যবহার হয় সয়াবিনের দুধ।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।