নয়াদিল্লি : করোনার তৃতীয় ঢেউ কি শিগগিরি হানা দেবে দেশে ? এই চিন্তাতে ঘুম উড়েছে মানুষের। কেউ কেউ আবার দাবি করছেন তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছে। করোনার থার্ড ওয়েভ কি দ্বিতীয়র মতোই ভয়ঙ্কর হতে পারে ? এই নিয়েও নানা মত বিশেষজ্ঞদের। ভবিষ্যত যাই হোক, আপাতত দ্বিতীয় ঢেউয়ের বীভত্সতা ভুলতে পারছে না মানুষ। হাসপাতালে বেড সঙ্কট, অক্সিজেনের জন্য হাহাকার, পথেই রোগীর মৃত্যু, শ্মশানে শ্মশানে সারিবদ্ধ চিতা, গঙ্গায় ভেসে আসা লাশ। এই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য তৈরি থাকতে চাইছে মানুষ। ২০২০ তে IRDAI চালু করে করোনার জন্য ইনসিওরেন্স স্কিম ( Covid-specific health policy) । তৃতীয় ঢেউ আতঙ্কের মধ্যেই স্বাস্থ্যবীমা প্রদানকারী সংস্থাগুলিকে করোনা-সংক্রান্ত বীমাগুলি বিক্রির সময়সীমা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হল। আগামী মার্চ অবধি সংস্থাগুলি করোনা কবচ, করোনা রক্ষকের মতো স্কিমগুলি বিক্রয় বা পুনর্নবীকরণ করতে পারবে।
এর আগে ২০২১ সালের মার্চ মাসেই Insurance Regulatory and Development Authority of India করোনা-সম্পর্কিত কম-সময়ের স্বাস্থ্যবীমা বা প্ল্যানগুলি এই বছরের সেপ্টেম্বর মাস অবধি বিক্রি বা রিনিউ (offer and renew ) করার অনুমতি দেয়। এবার পরিস্থিতি বিচার করে সেই সময়সীমা আরও বাড়নো হল।
দেশে করোনার প্রথম ঢেউ চলাকালীন দেশে ২০২০ র জুলাই মাসে করোনা কবচ প্ল্যান চালু করা হয়। এই কবচ গ্রহীতাকে করোনাকালে হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিত্সার খরচ যোগায়। করোনা চিকিত্সার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য কোমর্বিডিটি থাকলে, সেই চিকিত্সার খরচ পাওয়া যায় এই স্কিমের আওতায়। করোনা কবচ-এর (Corona Kavach) গ্রহীতা হলে ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ পর্যন্ত চিকিত্সার খরচ পাওয়া যায় শর্তসাপেক্ষে।
অন্যদিকে করোনাকালে করোনা রক্ষক একটি ফিক্সড বেনিফিট প্ল্যান (fixed benefit plan ) যা পলিসিহোল্ডার বা গ্রহীতা করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ৩ দিন ভর্তি থাকলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ খরচ বহন করে। করোনা রক্ষক পলিসিতে (Corona Rakshak policy) শর্ত ও চুক্তি সাপেক্ষে ৫০ হাজার টাকা থেকে আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত গ্রহীতা পেতে পারেন।