কলকাতা : করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ডা. দীপ্তেন্দ্র সরকার। ৭ দিনের আইসোলেশন কাটিয়ে তিনি এখন সুস্থ। এবিপি আনন্দ-র দর্শকদের জন্য তিনি জানালেন -
- করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তিনদিন যদি প্যারাসিটামল না খেয়েও জ্বর না আসে, তবে মনে করতে হবে তিনি সুস্থতার পথে।
- খুকখুকে কাশি থাকতেই পারে। তবে, তার জন্য বিশেষ ঘাবড়ানোর কিছু নেই ।
- প্রয়োজনে তিনি ইনহেলার নিতে পারেন বলে জানালেন ডা. সরকার।
এবিপি আনন্দ-র ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন অনুষ্ঠানে তিনি জানান, এই ঢেউতে সিংহভাগই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। আলাদা করে ডেল্টা না ওমিক্রন কোন ভ্যারিয়েন্ট থাবা বসাল, তা ভাবার সময় এটা নয়। কারণ ট্রেন্ড বলছে, ওমিক্রনই এখন মূলত দাপুটে। এটাকে ওমিক্রনিক ওয়েভই বলতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকা, আমেরিকা, ব্রিটেনে যেভাবে দ্রুত ছড়িয়েছিল ওমিক্রন, সেভাবেই ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। ডা. সরকার বরছেন - - এই ভ্যারিয়েন্ট ফুসফুস অবধি ছড়াচ্ছে না।
- মুখের মধ্যেই মূলত ঘোরাফেরা করার ফলে এটি ৬ গুণ বেশি সংক্রামক ।
- সাইটোকাইন স্টর্ম এই ওয়েভে খুব বেশি দেখা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন :
রাজ্যগুলিকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত রাখতে বলল কেন্দ্র
এই ভ্যারিয়েন্টে মূলত মৃদু উপসর্গ হচ্ছে। এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলে হাসপাতালে ভর্তির হওয়ার প্রবণতা কম হলেও যদি বিপুল জনসংখ্যার একটা কম শতাংশও হাসপাতালে ভর্তি করার পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে সংখ্যাটা বিরাটই হয়ে যাবে। এছাড়া আরও একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, কোনও দুর্ঘটনা বা অন্য কোনও অসুখে আক্রান্ত হয়ে দ্রুত অস্ত্রোপচারের দরকার পড়ল হয়ত, কিন্তু সেই রোগী দেখা গেল করোনা সংক্রমিত, তখন তাঁকে আবার কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেক্ষেত্রে তাঁর চিকিৎসায় দেরি হবে, ঝুঁকি বাড়বে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুধবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৯৪ হাজার ৭২০ জন। যা গত সাত মাসে সর্বাধিক। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৬৩। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৪২ জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২৭৭। দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৬০ লক্ষ ৭০ হাজার ৫১০ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় ৪ লক্ষ ৮৪ হাজার ৬৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৮৬৮।