নয়াদিল্লি : ভারতে এখনও শুরু হয়নি শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়া। কিন্তু পশ্চিমী বহু দেশেই শুরু হয়ে গিয়েছে বাচ্চাদের করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া । মার্কিন মুলুকে ইতিমধ্যেই ছোট শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সের বাচ্চাদের মধ্যে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
সম্প্রতি FDA ফাইজার ও মডার্নার মতো ভ্যাকসিনের ( Pfizer and Moderna ) কার্যকারিতা নিয়ে একটি গবেষণা চালিয়েছে। ভ্যাকসিন প্রাপ্ত ৩,১০০ জনের উপর এই গবেষণা চালানো হয়েছে।
আরও পড়ুন :
ভ্যাকসিন নেওয়া হয়নি ? আগামী বছর থেকে বিয়েবাড়ি যাওয়াও বন্ধ এই রাজ্যে
মার্কিন মুলুকে ছোট বাচ্চাদের জন্য Pfizer-এর ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী লক্ষাধিক শিশু ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন পেয়েছে। নভেম্বর থেকে শুরু থেকে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী ৫ মিলিয়নেরও বেশি শিশু প্রথম ডোজ পেয়েছে। তাতে এখনও কোনও সমস্যা হয়েছে বলে জানা যায়নি। এই বয়সী শিশুরা Pfizer-BioNTech ভ্যাকসিনের ছোটদের জন্য বিশেষ ডোজ পেয়েছে। জানা গিয়েছে, এই ডোজটি ১২ বা তার বেশি বয়সীদের জন্য যে টিকা রয়েছে, তার পরিমাণের এক তৃতীয়াংশ। ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন একটি গবেষণার ভিত্তিতে এটিতে অনুমোদন দেয়। গবেষণায় দাবি, বাচ্চাদের জন্য ধার্য এই ডোজ করোনা প্রতিরোধে ৯১% কার্যকর ছিল। এই ডোজ প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই শক্তিশালী ভাইরাসকে প্রতিরোধের ক্ষমতা রাখে। শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করে। এই ডোজ নেওয়ার পরে হাতে ব্যথা, জ্বরের মতো ঘটনা ঘটেছে।
এফডিএ এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ও শিশুরা এই ভ্যাকসিন থেকে কতটা নিরাপদ, তা নিয়ে বড় স্যাম্পল সাইজ নিয়ে গবেষণা চালিয়েছে। তিন হাজারেরও বেশি ভ্যাকসিনপ্রাপ্তদের উপর চালানো হয় সমীক্ষা। তাতে দেখা গিয়েছে ভ্যাকসিন নিয়ে কারও বড় কিছু শারীরিক ক্ষতি হয়নি। খুব কম সংখ্যক কয়েকজনের ক্ষেত্রে হৃদপিণ্ডে প্রদাহের মতো সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে বড় আকারে সমীক্ষা চালিয়ে যে উপসংহারে উপনীত হওয়া গিয়েছে, এই ভ্যাকসিনগুলি বিপজ্জনক নয়।
ভারতে করোনা সংক্রমণ :
- ওমিক্রন-উদ্বেগের মাঝেই দেশে করোনায় দৈনিক মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল।
- কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বৃহস্পতিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৪৯৫ জন।
- গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৩১৭।
- গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৩৪ জনের।
- গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩১৮।
- দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭৫৯ জনের।
- মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ৯৭৬।