নয়াদিল্লি: করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের কথা ভেবে যত দ্রুত সম্ভব দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ককে কোভিডের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। সেই সঙ্গে চিকিৎসকরাও বলছেন তাড়াতাড়ি প্রতিষেধক নেওয়ার কথা। এরই মধ্যে চিন্তা বাড়াল ওড়িশার regional medical research centre (RMRC) র করা একটি সার্ভে। সমীক্ষাটি যৌথভাবে চালিয়েছে আইসিএমআরও (ICMR)। সমীক্ষাটি বলছে, কোভ্যাক্সিন নেওয়ার ২ মাসের মধ্যেই শরীর থেকে অ্যান্টিবডি কমতে শুরু করছে। অন্যদিকে কোভিশিল্ড নিলেও তিন মাস পর থেকে অ্যান্টিবডি কমতে শুরু করছে।
CMR-RMRC এই স্টাডিটি সম্পন্ন করে। কী পদ্ধতিতে সমীক্ষাটি হবে, তার পদ্ধতি বা methodology ও ঠিক করা হয় সমস্থার তরফে।
সংস্থার তরফে ভ্যাকসিনের পরে ৬১৪ জনের উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়। এঁদের মধ্যে ৩০৮ জন কোভিশিল্ড পেয়েছেন। বাকি ৩০৬ জন পেয়েছেন কোভিশিল্ড। এঁদের মধ্যে ৫৩৩ জনের কোভিড সংক্রমণ ঘটেনি। তাঁদের ক্ষেত্রে RBD IgG (an antibody against Covid) অ্যান্টিবডি হ্রাস পেয়েছে।
এক সমীক্ষকের দাবি, তাঁরা দেখেছেন ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়ার পরও দুই থেকে চার মাসের মধ্যেই কোভিড অ্যান্টিবডি হ্রাস পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এতে মনে করছেন এই পরিস্থিতিতে আগে মডিফায়েড ভ্যাকসিন বের করা প্রয়োজন। বা বুস্টার ডোজ চালু করা দরকার। বিশ্বের অনেক দেশেই বুস্টার ডোজ চালু করার ভাবনা চিন্তা করছে। কিন্তু আমাদের দেশ এখনও এই নিয়ে আরও গবেষণা বা তথ্যের অপেক্ষায় আছে। সঙ্ঘমিত্রা পতি, ওই গবেষণার অন্যতম কো-অথর বলেন, যাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁদের ভ্যাকসিন নেওয়ার ৬-১২ মাস পর একটি বুস্টার ডোজ নিতেই হবে।
আরও দেখুন - Pneumonia: কলকাতায় বাড়ছে শিশুদের ভাইরাল নিউমোনিয়া
ভারতের করোনা পরিস্থিতি
- গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও বাড়ল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা।
- কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মঙ্গলবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৩৯ জনের।
- একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজার ৪০৪।
- এর মধ্যে কেরলে একদিন মৃত্যু হয়েছে ৯৯ জনের। ওই রাজ্যে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ৫৮।
- দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৪৩ হাজার ২১৩ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩২ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫৭৯। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৬২ হাজার ২০৭।