কলকাতা : পাঁচদিন পর অবশেষে দেশে একদিনে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষের নীচে নামল। তবে উদ্বেগ বাড়িয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যা ৪০ শতাংশ বেড়েছে।  কেন এই মৃত্যু সংখ্যায় বৃদ্ধি? তবে কি নখ ধারাল হচ্ছে ওমিক্রনের ? এই বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরলেন ডা. কুণাল সরকার। 



চিকিৎসক সরকার জানান, সংক্রমণের হার কিছুটা কমেছে। দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বাড়লেও মৃত্যুর সংখ্যা হাতের বাইরে বেরিয়ে যায়নি। মনে রাখতে হবে, এই ওয়েভকে চিকিৎসকরা ওমিক্রনিক হিসেবেই দেখছেন। তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসা হচ্ছে ওমিক্রনে আক্রান্তের মতো করেই। কিন্তু সমস্যা হল, কেউ করোনা আক্রান্ত হলেই কিন্তু জানা যাচ্ছে না তিনি কোন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। তাই এখন মূলত ওমিক্রনের কথা মাথায় রেখেই চিকিৎসা করা হচ্ছে। কিন্তু চিকিৎসকদের কাছে এখনও স্পষ্ট নয় যে এখনও কোনও কোনও পকেটে ডেল্টা স্ট্রেনের দাপট রয়ে গিয়েছে কিনা । তাই খেয়াল হবে উপসর্গের উপর। কারও কারও যদি জ্বর বেশিদিন থাকে, বা শ্বাসকষ্ট হয়, বা অন্য কোনও সমস্যা প্রকট হয় তাহলে কিন্তু সেই অনুসারে চিকিৎসা প্রয়োজন আছে। 


ওমিক্রন (omicron) তরঙ্গ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে ডা. কুণাল সরকার জানালেন, এবার কয়েকটি বিষয়ের উপর খেয়াল রাখতেই হবে। 



  • প্রথমত, আতঙ্কে হাসপাতালে ভর্তি হবেন না। অনেকেই ভয় পেয়ে হালপাতালে চলে আসছেন। এতে বেড ভর্তি হচ্ছে। ফলে অনেক মানুষ প্রয়োজনে বেড পাবেন না । 

  • আতঙ্কিত হয়ে ককটেল নেওয়ার কথা ভাববেন না। এত টাকা খরচ করার কোনও প্রয়োজন নেই। 

  • মনে রাখতে হবে, প্রথম ওয়েভ, দ্বিতীয় ওয়েভ ও এই তরঙ্গ কিন্তু চরিত্রগতভাবে আলাদা। তাই আগের বার যা ওষুধ খেয়েছিলেন, তা হুবহু খেতে শুরু করবেন না। 

  • বাড়ির বড়রা হয়ত কোনও প্রেসক্রিপশন মেনে ওষুধ খেয়েছেন, ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের ক্ষেত্রে হুবহু সেই প্রেসক্রিপশন ফলো করবেন না। 

  • বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কিন্তু প্যারাসিটামলেই সারছে ওমিক্রন। তাই আতঙ্কিত হবেন না। 

  • আক্রান্তের বিরাট বিরাট সংখ্যা নিয়ে না ভেবে খেয়াল রাখতে হবে এখন পজিটিভিটি রেট, মৃত্যু হার ও মৃত্যু সংখ্যার উপর। সেটা না বেড়ে গেলেই হল।

  • হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে না সিংহভাগ ক্ষেত্রেই। তাবলে অসচেতন হলে চলবে না। মনে রাখতে হবে সংক্রমণের হার বেড়ে গেলে কিন্তু শতাংশের হিসেবে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও বেড়ে যাবে। তাই তখন হাসপাতালে বেডও ভর্তি হয়ে যাবে। 

  • কারও উপসর্গ যদি মৃদু না হয়, সমস্যা একটু বেঁকে যায়, তাহলেই কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনে যেতে হবে হাসপাতালে। 

  • যাঁদের কোমর্বিডিটি আছে, তাঁদের বেশি সাবধান হতে হবে।