নয়াদিল্লি : করোনা অতিমারীর করাল রূপের সঙ্গে লড়ছে গোটা ভারত। সংক্রমিত, মৃতের সংখ্যা বাড়ছে দিন-দিন। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশজুড়ে আকাল অক্সিজন নিয়েও। এর মাঝেই তৈরি হয়েছে নতুন সংকটও। যা হল রক্তের ঘাটতি। এই পরিস্থিতিতে টিকা নেওয়ার পর রক্তদানের ক্ষেত্রে দিনের ব্যবধান কমানোর নির্দেশ জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রক। জানানো হয়েছে, করোনার টিকা নেওয়ার ১৪ দিন পর থেকেই করা যাবে রক্তদান।


গত ৫ মার্চ ন্যাশনাল ব্লাড ট্রান্সফিউশন কাউন্সিল এক অ্যাডভাইসারি জারি করে জানিয়েছিল, করোনার টিকা নেওয়ার ২৮ দিন পরই করা যাবে রক্তদান। ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রেই যে নিয়ম প্রযোজ্য ছিল। কিন্তু এবার সেটাই পাল্টে করা হল ১৪ দিন। অর্থাৎ, কোভিডের প্রথম বা দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া যে কেউ টিকা নেওয়ার ১৪ দিন পর থেকে এবার রক্তদান করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রকের পক্ষে অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর চিকিৎসক সুনীল গুপ্তার সই করা নির্দেশিকায় দেশের সমস্ত ব্লাড ব্যাঙ্কের কাছে নতুন যে নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।


১ মে থেকে গোটা দেশজুড়ে চালু হয়েছে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের টিকাদান কর্মসূচি। গোটা দেশেই টিকার আকাল কাটিয়ে আপাতত বিভিন্ন রাজ্যে একে একে শুরু হচ্ছে যে প্রক্রিয়া। এর মাঝেই করোনা কালে রক্ত সংকটের আশঙ্কা থাকছে। কারণ, পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীরাই সবথেকে বেশি এগিয়ে আসেন রক্তদানের ক্ষেত্রে। তাই দেশের একটা বড় অংশ যদি টিকা নেওয়ার কারণে রক্ত দিতে না পারে তাহলে দেশে রক্তের প্রবল আকাল দেখা দিতে পারে।


এমনিতেই করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য রক্ত ও প্লাজমা প্রয়োজন হয়। এছাড়া এমনিতেই আরও একাধিক রোগ বা দুর্ঘটনা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়ে রক্তের। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রকের নতুন নির্দেশে স্বস্তি সবমহলে। রাজধানীতে কাজ চালানো এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জানাচ্ছে, এতদিন আমরা সকলকে অনুরোধ করছিলাম, টিকা নেওয়ার আগে রক্তদান করতে। তবে টিকার নেওয়ার পর রক্তদানের মাঝে সময় ব্যবধান কমে যাওয়ায় রক্তের সংকটের সমস্যা কমবে বলেই প্রত্যাশা তাদের।