নয়াদিল্লি: এক নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে যে, জোড়া মাস্ক পরলে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে দ্বগুণ সুরক্ষা মেলে।
জামা ইন্টারনাল মেডিসিন প্রকাশিত ওই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, একটার বদলে দুটো মাস্ক পরলে সার্স সিওভি-২ ভাইরাস আটকানোর ক্ষমতা দুগুণ বেড়ে যায়। কারণ, জোড়া মাস্কের থাকলে ভাইরাস কণা নাক ও মুখের মধ্যে প্রবেশ করার সম্ভাবনা প্রায় অর্ধেক হয়ে যায়।
বিজ্ঞানী সিকবার্ট বেনেটের মতে, খোলামেলা মাস্ক পরলে, ভাইরাসের বিরুদ্ধে সঠিক সুরক্ষা পাওয়া যায় না। তবে, মুখের সঙ্গে একেবারে বসে থাকা মাস্ক পরা থাকলে, নাক-মুখের মধ্য়ে দিয়ে ভাইরাস কণা প্রবেশ করতে পারে না। যার ফলে, ব্যবহারকারী অধিক সুরক্ষিত থাকেন।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ ও প্রসারের মোকাবিলায় মাস্ক ব্যবহারের গুরুত্ব ও উপকারিতা প্রমাণিত। ফলে, ডবল-মাস্কের ব্যবহার সেই উপকারিতাকে দ্বিগুণ করে তোলে। তবে, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, যেমন-তেমনভাবে আলগা মাস্ক পরলে হবে না। তাতে কোনও ফায়দা নেই। মাস্ক পরতে এমন যাতে তা মুখের সঙ্গে সেঁটে থাকে।
ডবল মাস্কিং কী?
ডবল মাস্কিম হল যখন আপনি একটার ওপর আরেকটা মাস্ক পরবেন।
কোন ধরনের মাস্ক ব্যবহার করা ও কীভাবে পরা উচিত?
বিশেষজ্ঞদের মতে, নীচে সার্জিকাল মাস্ক পরে তার ওপর কাপড়ের মাস্ক পরুন। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, অন্য প্রকারের মাস্কের কম্বিনেশন ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ, কিছু কম্বিনেশনের ফলে, শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হয়।
কোন কম্বিনেশন এড়িয়ে চলা উচিত?
দুটি সার্জিকাল মাস্ক।
কেএন ৯৫-এর সঙ্গে অন্য কোনও মাস্ক।
এন ৯৫-এর সঙ্গে অন্য কোনও মাস্ক।
ব্যবহারের আগে দেখে নিন--
ফিটিং
নিশ্চিত হোন যে বাইরের মাস্ক আপনার নীচের মাস্ককে একেবারে আপনার মুখের কাছে ধরে থাকছে। অনেকটা সিল-এর মতো। একইসঙ্গ, দেখে নিন, যাতে আপনার নিঃশ্বাস নিতে কোনওপ্রকার সমস্যা হচ্ছে না।
শ্বাস-প্রশ্বাস
শ্বাস নেওয়ার সময় হয়ত অপনাকে একটু বেশি জোর দিতে হবে। তবে, তা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে না।
দৃষ্টি
নিশ্চিত হোন যে, মাস্ক কোনওভাবে আপনার দৃষ্টি আড়াল করছে না।