নয়াদিল্লি: ভারতে দিন দিন বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৷ বাড়ছে মৃত্যুও ৷ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত বিপর্যস্ত দেশ ৷ এই অবস্থায় ভ্যাকসিনই একমাত্র ভরসা ৷ যত দ্রুত সম্ভব, যত বেশি সংখ্যায় মানুষ ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিতে পারবেন, কিছুটা হলেও তাতে স্বস্তি মিলবে ৷ ভারতে আগামী ১ মে থেকেই ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সবার জন্য টিকাকরণের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র ৷ কিন্তু প্রশ্ন উঠছে করোনার টিকা ক্রমাগত বদলাতে থাকা করোনাভাইরাসের স্ট্রেনগুলির সঙ্গে লড়াই করার জন্য কতটা উপযুক্ত ? ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)-এর গবেষণায় অবশ্য কিছুটা হলেও আশার খবর শোনা গিয়েছে ৷ বুধবার আইসিএমআরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ভারত বায়োটেকের তৈরি করা কোভ্যাকসিন SARS-CoV-2-এর বিভিন্ন ধরণের স্ট্রেনের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে ৷ যা অবশ্যই ভাল খবর এ দেশের বাসিন্দাদের জন্য ৷ 



টুইট করে এদিন আইসিএমআরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, কোভ্যাকসিন বিভিন্ন ধরণের করোনার (SARS-CoV-2) ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম ৷ এমনকী, ডাবল মিউট্যান্ট স্ট্রেনের সঙ্গেও ৷ ’’ 


এদিকে বুধবার বড় ঘোষণা করল পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়াও। দেশের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থার তরফে কোভিশিল্ডের দাম ঘোষণা করা হল। সংস্থা জানাল, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, রাজ্য সরকারগুলির জন্য ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজের দাম পড়বে ৪০০ টাকা। অর্থাৎ, সরকারি হাসপাতালে ভ্যাকসিনের এক-একটি ডোজ মিলবে ৪০০ টাকায়। অন্যদিকে, বেসরকারি হাসপাতালগুলির ক্ষেত্রে এই মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০০ টাকা। দেশে বেলাগাম করোনা পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের নির্দেশিকা মেনে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিল সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। বিশ্বের অন্যান্য দেশের করোনা ভ্যাকসিনের দাম উল্লেখ করে সিরামের তৈরি কোভিশিল্ডের দাম তুলনায় অনেকটাই কম বলে দাবি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার। আমেরিকার ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজের দাম ভারতীয় মুদ্রায় দেড় হাজার টাকা। রাশিয়ান ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজের দাম ভারতীয় মুদ্রায় সাড়ে ৭০০ টাকা। চিনা ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজের দামও ভারতীয় মুদ্রায় ৭৫০ টাকা।