কোভ্যাক্সিনের ( Covaxin )  দুটি ডোজ নিলে করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে মানুষ ৫০ শতাংশ বেশি সুরক্ষিত। দাবি করছে বিখ্যাত মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেটের একটি সমীক্ষা। The Lancet Infectious Diseases journal. সম্প্রতি একটি পরীক্ষা চালান বড় সংখ্যক স্যম্পেল সাইজের উপর। এটাই ভারতীয় ভ্যাকসিনটি নিয়ে এখনও পর্যন্ত করা প্রথম real-world assessment . 


ল্যানসেট জার্নালে সম্প্রতি আরেকটি সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। দেখা গেছে কোভ্যাক্সিনের (Covaxin) দুটি ডোজ, যাকে BBV152 বলা হয়, তা নিলে অনেকটাই সুরক্ষিত থাকা যায় করোনা  থেকে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকরী এই টিকা। কোভ্যাক্সিন গ্রহীতারা এখন অনেক সুরক্ষিত বলছে সমীক্ষার ফল। প্রকাশিত গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে, দু’টি কোভ্যাক্সিন টিকা নেওয়ার ২ সপ্তাহ পরে দেহে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী শক্তিশালী অ্যান্টিবডি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।


এই পরীক্ষার স্যাম্পলে ছিলেন আড়াই হাজারের বেশি (2,714 ) হাসপাতাল কর্মী। যাঁরা All India Institute of Medical Sciences (AIIMS) এ কর্মরত। এঁদের শরীরে এপ্রিলের ১৫ থেকে মে মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা গিয়েছিল। RT-PCR পরীক্ষাও হয় এঁদের। এই সময় দেশে করোনাভাইরাসের ডেল্টা স্ট্রেন ভয়াবহ আকার নেয়। করোনা আক্রান্তদের ৮০ শতাংশই এই সময় ডেল্টা স্ট্রেনেই আক্রান্ত হয়। সর্বশেষ গবেষণাটি ভারতের COVID-19-র দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় করা হয়। যাঁদের উপর সার্ভেটি করা হয়, তাঁরা মূলত স্বাস্থ্যকর্মী। যাঁরা আগেই  Covaxin পেয়েছিল। দেখা যায়, মোট স্যাম্পলের মধ্যে, ১৬১৭ জন SARS-CoV-2 আক্রান্ত হন। বাকিরা নেগেটিভ হন। প্রত্যেরকের শরীরেই উপসর্গ ছিল। দেখা যায়, উপসর্গমূলক করোনার ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিন ৫০ শতাংশ সফল। 


ফের ঊর্ধ্বমুখী দেশের করোনা-গ্রাফ। ফের বাড়ল দৈনিক মৃত্যু ও সংক্রমণ।  কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুধবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ২৮৩ জন।  গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৫৭৯।   গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৩৭ জনের।  গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২৩৬।  দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৬৬ হাজার ৫৮৪ জনের।  মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪৫ লক্ষ ৩৫ হাজার ৭৬৩। ইতিমধ্যেই ১৩১ কোটি করোনার ডোজ দেওয়া হয়েছে দেশবাসীকে।