সন্দীপ সরকার, কলকাতা: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Calcutta Medical College Hospital) জটিল অস্ত্রোপচারে সাফল্য। পরিবারের দাবি, ত্রিপুরার (Tripura) নামী সরকারি হাসপাতাল ফিরিয়ে দেয় নবম শ্রেণির ছাত্রকে। কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল জটিল অস্ত্রোপচার (Complicated Surgery) করে বের করেছে টিউমার (Tumor)। রোগী এখন বিপদমুক্ত বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
ত্রিপুরার (Tripura) অন্যতম নামী সরকারি হাসপাতাল ফিরিয়ে দিয়েছে রোগীকে। জটিল অস্ত্রোপচারে প্রাণ বাঁচাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (Calcutta Medical College Hospital)। এমনটাই দাবি করছে রোগীর পরিবার। কাটাছেঁড়া না করে শরীর থেকে বের করা হল ১০ সেন্টিমিটার লম্বা টিউমার।
ত্রিপুরার বিলোনিয়ার বাসিন্দা, ১৭ বছরের কিশোর চারবছর ধরে ভুগছিল জটিল রোগে। পরিবারের দাবি, নবম শ্রেণির ওই ছাত্র শক্ত কোনও খাবার খেলেই তার নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হত। গতমাসে সমস্যা আরও বাড়ে। নিয়মিত রক্তক্ষরণের কারণে রক্তাপ্লতায় ভুগতে শুরু করে সে। প্রথমে তাঁকে আগরতলার (Agartala) গোবিন্দবল্লভ পন্থ হাসপাতালে (Govind Ballabh Pant Hospital) যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে ওই রোগের চিকিত্সা সম্ভব নয় বলে রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে পরিবারের দাবি।
এরপরই কলকাতায় এসে চিকিত্সা করানোর সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। ঠিক কী হয়েছিল নবম শ্রেণির ওই ছাত্রের? পরিবারের দাবি, সিটি স্ক্যানে (CT Scan) ধরা পড়ে নাকের ভিতর থেকে শুরু হয়ে, চোখের পিছন দিয়ে খুলির নীচ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে লম্বা টিউমার। গত ৮ নভেম্বর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইএনটি বিভাগে ভর্তি করা হয় নবম শ্রেণির পড়ুয়াকে। গত ১৯ ও ২০ নভেম্বর, দু’দফায় অস্ত্রোপচার হয়।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে খবর, এন্ডোস্কোপির (Endoscopy) সাহায্যে কোনও রকম কাটাছেঁড়া না করে, ১০ সেন্টিমিটার লম্বা টিউমারটিকে বের করে আনেন চিকিত্সকরা। রোগীর বাবা বাসুদেব ভট্টাচার্য বলেন, “ত্রিপুরার ডাক্তাররা পারেনি, ফিরিয়ে দিয়েছিল। বাংলার ডাক্তাররা ভগবান।’’
আরও পড়ুন: East Burdwan: কালনার সাহাপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য