নয়া দিল্লি : চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কায় কাঁপছে দেশ। রোজই একটু একটু করে চড়ছে করোনাগ্রাফ।  বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভ্যাকসিন-মাস্ক আর দূরত্ববিধিই এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার একমাত্র পথ। এরই মাঝে সেরাম ইনস্টিটিউট জানিয়ে দিল, ২০২১ সালের ডিসেম্বরের শেষ থেকে ভ্যাকসিন উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে । জানিয়েছেন , সংস্থার কর্ণধার  ( Chief Executive Officer ) আদর পুনাওয়ালা ( Adar Poonawalla )। 


সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া ২০২১ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিন থেকে আর  COVID-19 ভ্যাকসিন তৈরি করছে না। করোনা টিকা দেওয়ার গতি কমে যাওয়ার পরে দেখা যায়, লক্ষ লক্ষ ভ্যাকসিন ভাণ্ডারে পড়ে রয়েছে।  বহু ভ্যাকসিন উদ্বৃত্ত থাকার কথা শুক্রবার Serum Institute of India - এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আদর পুনাওয়ালা জানান। সেই সঙ্গে তিনি অল্পবয়সী বাচ্চাদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি ভেবে দেখার কথাও বলেন।  


পুনাওয়ালা বলেন, "যেহেতু ভ্যাকসিন নেওয়া কমে আসছে, আমাদের কাছে প্রচুর বিক্রি না হওয়া স্টক রয়েছে। আমরা ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১-এ উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছি। বর্তমানে, আমরা ২০০ মিলিয়নেরও বেশি ডোজ নিয়ে বসে আছি। ' তিনি আরও বলেন, কেউ বিনা পয়সায় নিতে ইচ্ছুক হলেও আমরা দিতে আগ্রহী বলে জানিয়েছি। কিন্তু তাতেও ভাল সাড়া পাওয়া যায়নি। মনে হচ্ছে এখন মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিন  নেওয়ার প্রতি অনীহা তৈরি হয়েছে। কারণ দাম ২২৫ টাকা কমানোর পরেও, সেখানে কোনও বড় নড়চড় হয়নি," পুনাওয়ালা এ কথা টাইমস নেটওয়ার্ক ইন্ডিয়া ইকোনমিক কনক্লেভ-এ জানান। 


পুনাওয়ালা আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল, ছয় মাস পর অ্যান্টিবডি কমে আসে। তাই ছয় মাসের মধ্যে তৃতীয় ডোজ নেওয়া ভাল।


শনিবারের কোভিড আপডেট 

দেশে ফের বেড়েছে করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। তবে সামান্য কমেছে একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা।  কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫২৭ জন। 
গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৪৫১। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৫৪।