নয়াদিল্লি: ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের জন্য করোনার ভ্যাকসিন করবিভ্যাক্স ব্যবহার করা যেতে পারে। এই পরামর্শ দিয়েছে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার বিশেষজ্ঞ কমিটি। এবার ডিসিজিআই এর চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই হায়দরাবাদের ওষুধ নির্মাতা সংস্থা বায়োলজিক্যাল ই-র তৈরি এই ভ্যাকসিন ব্যবহার করা যাবে।  সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এই  ভ্যাকসিনের দাম পড়বে আনুমানিক ১৪৫ টাকা।  দু’টি ডোজের এই ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের জন্য।  


কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত ১৫ বছরের কমবয়সিদের টিকাকরণের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। গত ২০ জানুয়ারি করোনাভাইরাস মোকাবিলা সংক্রান্ত গোষ্ঠীর চেয়ারপার্সন চিকিৎসক এন কে অরোরা জানিয়েছিলেন, এ বছরের মার্চে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণ শুরু হবে। সেই ঘোষণা অনুযায়ী এবার হয়তো কিশোর-কিশোরীদের করোনার টিকা দেওয়া শুরু হতে চলেছে।


সূত্রের খবর, করোনা বিষয়ক সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি সীমিতভাবে বায়োলজিক্যাল ই সংস্থার তৈরি ভ্যাকসিন করবিভ্যাক্স ব্যবহারের বিষয়ে অনুমোদন দেওয়ার পক্ষে মতপ্রকাশ করেছে। তবে এই ভ্যাকসিন ব্যবহারে অনুমোদন দেওয়ার বিষয়ে কিছু শর্ত রাখা হচ্ছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ডিসিজিআই-এর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।


সম্প্রতি সংবাদিক বৈঠকে নীতি আয়োগের সদস্য  ভি কে পল জানিয়েছেন, যাঁরা এখনও পর্যন্ত করোনার টিকা পাননি, তাঁদের টিকাকরণের বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। দেশে আরও কত ভ্যাকসিন দরকার, সে বিষয়েও আলোচনা চলছে।


ডিসিজিআই ইতিমধ্যেই করবিভ্যাক্স ব্যবহারে অনুমোদন দিয়েছে। এই প্রথম দেশে আরবিডি প্রোটিন সাব-ইউনিট ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে। গত ২৮ ডিসেম্বর জরুরি ভিত্তিতে প্রাপ্তবয়স্কদের এই ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে এতদিন এই ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হয়নি। এবার হয়তো অ-প্রাপ্তবয়স্কদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।


বায়োলজিক্যাল ই লিমিটেডের আধিকারিক শ্রীনিবাস কোসারাজু গত ৯ ফেব্রুয়ারি ডিসিজিআই-কে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, তাঁরা গত সেপ্টেম্বরে ৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের উপর করবিভ্যাক্সের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন পান। এরপর অক্টোবরে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের উদ্যোগ নিয়েছেন। তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালও চালানো হয়েছে।